ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়

বঙ্গবন্ধুকে ডক্টর অব ল’জ প্রদান তাৎপর্যপূর্ণ 

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডক্টর অব ল’জ উপাধিতে ভূষিত করার যে সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে, তা একই সাথে ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ এবং বিশেষ প্রশংসাযোগ্য।

আরও পড়ুন: ৬৪ ঘণ্টা এনআইডি সেবা বন্ধ

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডক্টর অব ল’জ উপাধি প্রদান উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ও ভারত ভেঙে এ উপমহাদেশে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না। এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি কালক্রমে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৪

শেখ হাসিনা বলেন, তার নেতৃত্বে পরিচালিত বহু আন্দোলনের সাক্ষী এ বিশ্ববিদ্যালয়। ’৫২-এর জাতির ভাষা ভিত্তিক স্বাতন্ত্র্য চেতনা রক্ষার ভাষা আন্দোলন ও জাতির পিতা ঘোষিত ’৬৬-এর ৬ দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন সম্মুখসারির যোদ্ধা।

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাদের অনেকে শহীদ হয়েছেন।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বাধীনতা পরবর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করে আসছেন।

আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুর মানে অবনতি

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর হতে আজ পর্যন্ত অনন্য দক্ষতায় মনন ও মানবিকতায় অভূতপূর্ব সংশ্লেষ ঘটিয়ে এ মহিরুহ বিদ্যায়তন সমগ্র দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পরিপুষ্ট করে চলেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধিচর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

তিরি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারসবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই

এ সরকারের বিগত প্রায় ১৫ বছরে গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে শিক্ষা খাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এ সময় উচ্চ শিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ও বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি।

এছাড়া বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

আরও পড়ুন: জিএসপি সুবিধা দিতে ইইউ’র প্রতি আহ্বান

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে বিভিন্ন হল ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

বেশি উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যেকোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। সেই সাথে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা, গবেষণা ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সকল শাখায় এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করবে।

আরও পড়ুন: খালেদার চিকিৎসায় ঢাকায় ৩ চিকিৎসক

পাশাপাশি দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, তথা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে ডক্টর অব ল’জ ডিগ্রি প্রদান করা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রাকেই স্বীকৃতি প্রদান করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ মহতী উদ্যোগ সফল হোক। জাতি হিসেবে আমরা কিছুটা হলেও পিতৃঋণ স্বীকারে সক্ষম হই।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জমির দলিল হস্তান্তর

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর জেলা স্কাউটসের জন্য তথ্য প্রযুক্তি ভি...

এমপি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্ন...

ময়মনসিংহে বাসচাপায় নিহত ২

নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের ভালুকায় বাসের চাপায় নিহত হয়েছেন...

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

জেলা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গায় ফের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র...

জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অত...

পায়রা-মোংলায় ৭ নম্বর সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের...

ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন...

সুইমিংপুলে ডুবে শিশুর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ জেলার স...

নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি প্রবল ঘ...

দাম কমলো সোনার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান দেশের ব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা