পরিবেশ

ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়, উর্বরতা হারাচ্ছে জমি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় মজুদ করার ধূম পড়েছে। এতে করে একদিকে জমির সমতল ভূমির উঁচূ-নিচু গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে ফসল ফলানোর জন্য জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। বিস্তৃর্ণ ফসলি জমির মাঝ খান থেকে এই কাজে অত্যাধুনিক ভেকু মেশিন দিয়ে জমির মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ চলছে অনবরত ।

এর ফলে যেই জমির উপরিভাগে ধান রোপিত হত সে জমি এখন বিশাল আকার গর্তে পরিণত হয়েছে। এতে করে ওই জমিগুলো উর্বরতা হারাচ্ছে তেমনি ধ্বংস হচ্ছে এসব ফসলি জমি। দেশের আইন অনুযায়ী ইটভাটার জন্য কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ নিষিদ্ধ হলেও তার কোন তোয়াক্কা করছে না বেশীরভাগ ইটভাটার মালিকরা।

পরিবেশ অধিদফতর আইনলঙ্ঘনকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও বাস্তবে ফসলি জমি ধ্বংসের মহোৎসব হর হামাশায় চোখে পড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় ১৮৯টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৮১টি ইটভাটা পরিবেশ আইন মেনে চললেও বাকি ভাটাগুলোর কোনটির ছাড়পত্র নেই। আবার কোনটি ইট পোড়ানো আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ এলাকায় পড়েছে।

জেলা সদর, সরাইল, আশুগঞ্জ, নাসিরনগর, বিজয়নগরসহ ৯টি উপজেলাতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এসব ভাটাগুলো। ভাটা মালিকরা নানা কৌশলে কৃষকদের কাজ থেকে প্রতি কানি উপরিভাগের এক ফুট মাটি ৩০/৩৫ হাজার টাকা ধরে কিনে নিচ্ছে। আবার কিছু কিছু ইট ভাটার মালিক ফসলি জমির মাঝখান দিয়ে সড়ক বানিয়ে ট্রাক্টর চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এতে ফসলি জমিগুলো এখন হুমকির মুখে। কেননা তারা ভাটামালিকদের বিভিন্ন পরোচনায় আকৃষ্ট হয়ে সোনালি ফসল ফলানো জমিগুলো থেকে মাটি বিক্রি করে থাকে। এ বিষয়ে কৃষক ছিদ্দিক মিয়া বলেন, জমিগুলোর মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে জমির ফসলে লাল ছিটার সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া ইট ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় ফসল ছাড়াও বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষের ক্ষতি হচ্ছে।

কৃষক কুদ্দুস ভূইয়া বলেন, কৃষকদের বাঁধা উপেক্ষা করে ইট ভাটার মালিকরা জমির উপর দিয়ে অবাধে মাটি নিচ্ছে। এতে করে ধুলা বালিতে আশপাশের শত শত একর ফসলি জমি ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতরের উপ- পরিচালক রবিউল আলম মজুমদার বলেন, জমির টপসেল কেটে ফেলার কারনে জমি অনুবর্র হয়ে পড়ে। পাশাপাশি ভাটা থেকে নি:সৃত কার্বনের কারনে ফসল ও আশপাশে থাকা গাছপালারও ক্ষতি হয়।

জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপ- পরিচালক মো: নরুল আমিন বলেন, যেসব ইটভাটা নিষিদ্ধ এলাকায় রয়েছে সে ভাটাগুলো ভেঙ্গে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। খাবার উৎপাদনের জন্য কৃষি ভূমি দরকার। সেজন্য তা সংরক্ষণ করতে হবে। আর কৃষি সংরক্ষণ করতে পরিবেশ অধিদফতর কাজ করে যাচ্ছে। ২০২০ সালে পরিবেশ আইনে ৮৬ টি ইটভাটাকে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ফেলার দায়ে গত এক মাসে ২১টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ৭৭লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

সান নিউজ/ আকন্ঞ্জি/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগ

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ

সান নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব ম্যালেরি...

টঙ্গীবাড়ি ভাতিজারা পিটিয়ে মারলো চাচাকে

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

গরমে ত্বক ব্রণমুক্ত রাখতে যা খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমকাল এলেই ব্র...

মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে

জেলা প্রতিনিধি: বিয়ে না দেওয়ায় চা...

পঞ্চগড়ে দুই শিশুর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে আলমি আক্...

চারতলা থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল : টাঙ্গাই...

শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না 

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাইপলাইনের কাজে...

ভারতীয় ৩ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র স...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা