সংগৃহীত
সারাদেশ

প্রাথমিকে ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ চান চাকরিপ্রার্থীরা

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা। ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। এরপর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম

চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০-এর অনুমোদিত পদসংখ্যা ৩২ হাজার ৫৭৭টি হলেও চলতি বছরের মার্চে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে আমরা যখন চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষায়, তখন আবার বলা হচ্ছে, বেশি প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হবে না। এটা বেকারদের সঙ্গে অন্যায়।

বক্তারা বলেন, প্রাথমিকে বিগত নিয়োগগুলোতে ৩ জনে একজন নিয়োগ হয়েছে। আমরা চাই এবারও সেই নিয়ম বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো বৈষম্য যেনো না হয়।

চাকরিপ্রার্থীদের মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাইফুল ইসলাম, আইমান তাওফিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

চাকরিপ্রার্থীদের উত্থাপিত ৭ দফা দাবিগুলো হলো
১. শূন্যপদের বিপরীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগ প্রদান।
২. বিদায়ী সচিব স্যার বিবিসি বাংলায় সাক্ষাৎকার দিয়ে ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেন কিন্তু বর্তমানে আবার ৩২ হাজার ৫৭৭ জন নিয়োগ দিতে চাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
৩. মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ৪৫ হাজার নিয়োগের কথা বলেন যা সময় নিউজ এবং ডিবিসি নিউজে প্রকাশিত হয়।
৪. প্রাথমিকের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী প্রতি তিন জনে ১ জন নিয়োগ দেয়া হয় এবং সেই অনুযায়ী প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজারের মত প্রার্থী ভাইভার জন্য বাছাই করা হয়। কিন্তু ৩২ হাজার ৫৭৭ জন নিয়োগ দিলে তা হবে প্রতি ৫ জনে ১ জন।

আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাশিয়া

৫. সার্কুলারের ৯ নং এ উল্লেখ ছিল সকল শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ হবে। বর্তমানে শূন্যপদ ৬০ হাজারের বেশি।
৬. ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ১ শিফটে চলবে বলে আমরা বিদায়ী সচিব থেকে জানতে পারি। সেক্ষেত্রে পাঠদানের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগের প্রয়োজন। ফলে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগ হলে প্রাথমিকের পাঠদান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
৭. বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার উপর যে গুরুত্ব দিয়েছে সেটির বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ অতীব জরুরি। এর ফলে প্রাথমিকে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।

সান নিউজ/এসআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

মুন্সীগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভূমি অফি...

লক্ষ্মীপুরে চলছে ৫ ইউনিয়নে ভোট

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

শহীদ শেখ জামাল’র জন্ম

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অত...

রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

হিটস্ট্রোকে একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রা...

আইনি সেবায় মানবিকতাকেও স্থান দেয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনি সেবা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের...

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ড সফর শেষে আগামীকাল ব্যাংকক থেকে...

ডিপিএস এসটিএস স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা