সান নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি ভারতে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিষয়ে বাংলাদেশে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য বা ডকুমেন্ট আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আরও পড়ুন : তিনদিনের রিমান্ডে পি কে হালদার
রোববার ( ১৫ মে ) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি কে হাওলাদারের গ্রেফতারের বিষয়ে বলেন, আমরা জেনেছি পি কে হাওলাদার গ্রেফতার হয়েছেন। তবে আমাদের কাছে এখনো তার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু আসেনি। আমাদের যে কাজ আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, পি কে হালদার বাংলাদেশে ওয়ারেন্টেড ব্যক্তি। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে অনেক দিন ধরেই তাকে চাচ্ছিলাম।
আরও পড়ুন : বিএনপি সহজে ক্ষমতায় আসতে পারবে না
শনিবার (১৪ মে) সকালে এর আগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদারসহ ৬ জনকে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত বাকি ৫ জন হলেন উত্তম মিত্র, স্বপন মিত্র, সঞ্জীব হালদার, প্রাণেশ হালদার (প্রীতিশ) ও তার স্ত্রী।
এদিকে ভারতের ব্যাঙ্কশাল স্পেশাল সিবিআই কোর্ট পি কে হালদারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। শনিবার গভীর রাতে পি কে হালদারসহ ৬ জনকে ব্যাঙ্কশাল সিবিআই কোর্টে হাজির করা হয়। এরপর তাদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন : নিউইয়র্কে বন্দুক হামলায় নিহত ১০
শুক্রবার (১৩ মে) এর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।
এসময় দেশটিতে পি কে হালদারের বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পায় গোয়েন্দা সংস্থাটি। কলকাতায় সুকুমার মৃধার কাছে এ অর্থের সন্ধান মেলে। তিনি পি কে হালদারের সহযোগী।
আরও পড়ুন : ভারত থেকে গম রপ্তানি বন্ধ
ইডি জানায়, প্রশান্ত হালদার নামে এক বাংলাদেশী হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তারই সহযোগী সুকুমার মৃধা বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাছ ব্যবসায়ী।
সুকুমার মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মাছের ব্যবসার আড়ালে বিপুল পরিমাণ বেআইনি টাকার লেনদেন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : ফিনল্যান্ডকে সতর্ক করলেন পুতিন
প্রসঙ্গত, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ হাজার ৬ শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থপাচার করেছিলেন তিনি। তাকে গ্রেফতার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।
সান নিউজ/এইচএন