আমিরুল হক, নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নে মর্ডান নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কয়েক বছর ধরে বন্ধ। আছে শিক্ষার্থী মাত্র ৫ জন। গত ৬ জুলাই প্রকাশিত এমপিওভুক্তির তালিকায় নাম এসেছে বিদ্যালয়টির। এমন খবরে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আনন্দিত হলেও বিস্মিত এলাকার অনেকেই।
আরও পড়ুন: সাভারে রিকশাচালক খুন
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টি বন্ধ রয়েছে। ৫ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী নেই। এই প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে এমপিওভুক্ত হয়।
সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৫ জন শিক্ষার্থী বসে আছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীসহ ১২ জনকে নিয়োগ দেখানো হলেও বাস্তবে পাওয়া যায় মাত্র ৪ জনকে। বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপি'র কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল
সেখানে সহকারী শিক্ষক আব্দুল মতিনকে পাওয়া গেলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসেন না। শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তা তিনি দেখাতে পারেননি।
এলাকাবাসী অভিযোগ, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্ত হওয়ার শর্তানুযায়ী বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি এবং খেলার মাঠ থাকতে হবে। শিক্ষার্থী থাকতে হবে। কাগজে-কলমে জমি দেখানো হলেও বাস্তবে এ বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি নেই। খেলার মাঠ নেই। শিক্ষার্থী নেই। গত জুলাই মাসে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর থেকে গ্রামের কিছু দরিদ্র শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বিনা পয়সায় প্রাইভেট পড়ানোর নামে কাগজে-কলমে শ্রেণি কার্যক্রম সচল দেখানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসলামপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ঠিকাদারী কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে বিদ্যালয়ে সময় দিতে পারেন না, এ জন্য বিদ্যালয়ের বেহাল দশা।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে মোবাইলে ফোনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল
জানতে চাইলে, বিদ্যালয়ের সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। আজকে শুধুমাত্র ৫ জন উপস্থিত হয়েছে।
নীলফামারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ডিমলা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
সান নিউজ/কেএমএল