ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার শাহ আলম রিপন মল্লিককে পিটিয়ে হত্যার মামলায় পরকীয়া লিপ্ত আসামি শিরিন আক্তারকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় বাংলাদেশি নিহত
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে নিহতের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মল্লিক বাদী হয়ে শিরিন আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শিরিন আক্তার একই এলাকার সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রী ও নলছিটি থানার মগড় ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আফসার শেখের মেয়ে। নিহত শাহ আলম রিপন মল্লিক শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার আবদুল মল্লিকের ছেলে।
শিরিনের ঘরে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঐ নারীর সাথে রিপন মল্লিকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় অনেকে। তবে তার দেয়া আঘাতেই রিপন মল্লিক গুরুতর আহত হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন আটক শিরিন আক্তার।
আরও পড়ুন: বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল আইনজীবীর
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রিপন মল্লিকের কাছ থেকে কৃষ্ণকাঠি এলাকার সৌদি প্রবাসী কামালের স্ত্রী শিরিন আক্তার বেশ কয়েক বছর পূর্বে জমি ক্রয় করে বসতঘর তুলে বসবাস করে আসছিলেন। জমির বিক্রির বাকি টাকা আনতে গিয়ে শিরিনের সাথে রিপন মল্লিকের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
হত্যার দিন রিপন মল্লিককে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে দেয়। এ সময় ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা রিপন মল্লিককে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ জানান, শাহ আলম রিপন মল্লিকের কাছ থেকে জমি ক্রয় সূত্রে শিরিন আক্তারের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। নিহত রিপন মল্লিকের ছেলে রিয়াজ মল্লিক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শিরিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। সোমবার রাতে রিপন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে শিরিন আক্তার ডাক চিৎকার দিয়ে দরজার লাঠি দিয়ে রিপনকে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর জখম হয়। পরে এলাকাবাসী এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
হত্যা মামলায় শিরিন আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে অধিকতর জিজ্ঞসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ এইচ এম ইমরানুর রহমান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে রিমান্ড শুনানি না করে শিরিন আক্তারকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
সান নিউজ/এনজে