নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানী ঢাকার উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মন্তব্য করে বলেছেন, ডেঙ্গু দমনে সচেতনতার চেয়ে অভিযান ও জরিমানা অনেক বেশি কার্যকর।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৯ মৃত্যু, হাসপাতালে ২১৪৯
বুধবার (১৬ আগস্ট) মোহাম্মদপুরে ডেঙ্গু দমনে নিয়মিত অভিযান, পরিদর্শন কিংবা সচেতনতার কার্যক্রমের অংশ হিসাবে পরিদর্শন চলে
এ সময় মেয়র আতিক জানান, রাজধানীর জাপান গার্ডেন সিটি আগে লার্ভা গার্ডেন ছিলো। প্রতিটি বেইসমেন্টে লার্ভা থাকতো। কিন্তু তারা সেই লার্ভা পরিষ্কার করেছে।
আরও পড়ুন: আরও ১০ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৯৮৪
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জনগণ সচেতন ও সম্পৃক্ত হলে মশার উপদ্রব কমানো সম্ভব। অতীতে যারা যত টাকা জরিমানা দিয়েছেন তার চেয়ে অনেক কম খরচে তারা লার্ভা পরিষ্কার করেছেন। গত দেড়মাসে যেসব জায়গা অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে আবারো রিভার্স অভিযান চলবে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের যেসব এলাকায় আজ ইতিপূর্বে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, সেখানে ২য় বারের মতো সরেজমিন দেখতে এসে এসব কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এ মেয়র।
তিনি জানান, ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ তুলনামূলক কম, অধিকাংশ রোগীই ঢাকার বাইরের। ঢাকার মানুষ আগের চেয়ে সচেতন হয়েছে, এর কারণ হলো তারা জরিমানা দিয়েছে। প্রায় দেড়কোটি টাকা দেড়মাসে জরিমানা আদায় করা হয়েছে, যার পুরো টাকাই ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগে জমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে নতুন রেকর্ড, একদিনে ১৮ মৃত্যু
মেয়র জানান, ১ম বার ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় মশা নিধনে প্রয়োগকৃত বালাইনাশক 'বিটিআই' সম্পর্কে প্ল্যান প্রটেকশন নীতি অনুযায়ী যে কেউ এটা আমদানি করতে পারবে। সবচেয়ে কম দামে যে কোম্পানি পিপিআর দিয়েছে (মার্শাল অ্যাগ্রোভেট), তাদেরকেই কার্যাদেশ দেওয়া হয়। পিপিআরে কোথাও বলা নেই, নির্দিষ্ট কোন দেশ থেকে 'বিটিআই' আনতে হবে। ৪ টি দেশের কথা উল্লেখ ছিল।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বিটিআই' ডিএনসিসি হাতে পাওয়ার পর কীটতত্ব বিভাগে তা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় মশা নিধনে 'বিটিআই' অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়। পরে ডিএনসিসি ইভ্যুলেশন কমিটি, আইইডিসিআরসহ সবাই এটাকে কার্যকর বলেছেন।
মার্শাল অ্যাগ্রোভেট দাবি করেছে, তারা 'বিটিআই' সিঙ্গাপুরের বেস্ট ক্যামিকেলস থেকে এনেছে, তাই ডিএনসিসির পক্ষ থেকে তাদের কাছে আরও তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিকে জানতে চাওয়া হয়েছে, তারা কোন কোম্পানি থেকে, কার মাধ্যমে এনেছে?
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে স্যালাইন আমদানি
মেয়র আতিক জানান, প্রাথমিক অবস্থায় পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের জন্য মাত্র ৫ টন বিটিআই আনা হয়েছে। ডিএনসিসি এলাকায় মশক নিধনে প্রয়োজন হাজার টন। আমাদের কাছে রক্ষিত বিটিআই থেকে যে কেউ চাইলে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
বিটিআই'র গুণগত মান কোনো কারণে মিথ্যা প্রমাণ পাওয়া গেলে সরবরাহকৃত কোম্পানি মার্শাল অ্যাগ্রোভেট'র বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, আজ দুপুরের পরে বিটিআই' কার্যকারীতার পরীক্ষা গণমাধ্যমের সামনে রাজধানীর গুলশানের ডিএনসিসি কার্যালয়ে পরীক্ষা করা হবে।
সান নিউজ/এএ