আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেষ হল জি-৭ সম্মেলন বা গ্রুপ অফ সেভেন সম্মেলন ২০২১। সম্মেলন শেষে কমিউনিক নামে নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, যেখানে চীনের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছে।
শিনজিয়াংয়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি, হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন এবং তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে চীনকে সমালোচনা করেছেন জি-৭ এর নেতারা। একইসঙ্গে চীনে করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তেরও দাবি তুলেছেন তারা।
রোববার (১৩ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন বলেন, জি-৭ এর শেষ সম্মেলনের কমিউনিকে চীনের বিষয়ে কোনো উল্লেখ ছিল না, কিন্তু এবার আছে।
হংকং ও জিনিজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে সম্মত হয়েছে জি-৭। একইসঙ্গে চীনের অপেশাদার নীতি, যেগুলোর কারণে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা ব্যাহত হচ্ছে সেগুলোর বিষয়েও সাধারণ কৌশল নিতে সম্মত হয়েছে গ্রুপটি। সোলার, কৃষি ও তৈরি পোশাক খাতে জোরপূর্বক শ্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও একমত হয়েছে জি-৭ নেতারা। তিনি আরও বলেন, এ নথিতে চীনের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলা হয়েছে, এ জন্য তিনি সন্তুষ্ট।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। বিশ্বে যেভাবে চীনের প্রভাব বাড়ছে তাতে ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর একে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক নানা ঘটনার অন্যতম বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এভাবে দিন দিন চীনের ক্ষমতা বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনকে তার দেশের প্রধান কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই মনে করেন।
অনেকেই মনে করেন চীনের ক্ষমতা বৃদ্ধির পথ আটকে দেয়ার পরিকল্পনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জি-৭।
সান নিউজ/এমএইচআর/এনএম