নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহকর্ম, শুঁটকিপল্লী, পথশিশু, পাথর কুড়ানো-বহন ভাঙানো, দর্জি এবং ময়লার ভাগাড়ে কাজসহ দেশে ৬ খাতে শিশুশ্রম অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ পেয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সরকারি, বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটির কাছ থেকে এ সুপারিশ আসে।
বুধবার (২৩ জুন) জাতীয় শিশু শ্রম কল্যাণ পরিষদের ১০ম সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি খাত রয়েছে। এর মধ্যে আটটি খাতকে ইতোমধ্যে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব খাতকেই দেশে শিশুশ্রম মুক্ত করা হবে।
সভায় জানানো হয়, শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় শিশু শ্রম কল্যাণ পরিষদের অধীনে বিভাগীয় পর্যায়ে ৫৫টি এবং জেলা পর্যায়ে ১২৫টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় শিশু শ্রম কল্যাণ পরিষদের ১০ম সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব সাকিউন নাহার বেগম প্রমুখ।
বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে শিশুশ্রম নিরসন করতেই হবে। ইতোমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হবে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, অদৃশ্য শত্রু করোনা মোকাবেলার জন্য সকলকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানার উৎপাদনও সচল রাখতে হবে। তবেই শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সম্ভব হবে।
সাননিউজ/এফএআর