আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের নেতা রমজান কাদিরভ দেশটির বিদ্রোহী ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপকে দমনের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ওয়াগনারকে থামাতে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: বিজেপি এলে কোনো নির্বাচন হবে না
এছাড়া এই চেচেন নেতা, ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও তার বিদ্রোহকে ‘পেছন থেকে ছুরিকাঘাত’ করার শামিল হিসেবেও অভিহিত করেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন বিদ্রোহ নিয়ে যা যা বলেছেন সেগুলোকে সমর্থন জানান তিনি।
২০০৭ সাল থেকে রমজান কাদিরভ রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলকে শাসন করে আসছেন। ২২ বছরেরও অধিক সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এ নেতা পুতিনের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: হুমকির মুখে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ
চেচেন সেনারাও ওয়াগনার সেনাদের মতো ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। সে সময় প্রিগোজিন ও রমজান কাদিরভের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে প্রিগোজিন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমালোচনা করার পর, তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন রমজান।
রমজান কাদিরভ ওয়াগনার গ্রুপের সেনাদের উদ্দেশ্যে এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, ‘আমি যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি— আমাদের দেশের দেশপ্রেমিকদের প্রতি— উস্কানিতে যুক্ত হবেন না।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আপনাদের যে স্বপ্ন দেখানো হয়েছে, যে কথাই দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর চেয়ে আমাদের দেশের নিরাপত্তা এবং রাশিয়ান সমাজের সংহতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: ওয়াগনারে যোগ দিচ্ছে রুশ সেনারা
ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে ইতোমধ্যে চেচেন সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি হুমকির সুরে জানিয়েছেন।
তিনি তার পোস্টটি এই বলে শেষ করেছেন, ‘বিদ্রোহ অবশ্যই চূর্ণ করতে হবে। আর এটি দমনে যদি কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন হয়। আমরা এর জন্য প্রস্তুত আছি।’
এদিকে শনিবার প্রায় ২৫ হাজার সেনা নিয়ে ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন রোস্তোভ অঞ্চলে প্রবেশ করেন। তার সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী, তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: সেনা সদর ওয়াগনারের নিয়ন্ত্রণে
তিনি এ হামলার বিচারের জন্য রাজধানী মস্কোতে গিয়ে বর্তমান সামরিক নেতৃবৃন্দকে ক্ষমতাচ্যুত করবেন বলেও জানান। সূত্র: বিবিসি
সান নিউজ/এইচএন