সান নিউজ ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির দিনগুলোতে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবারও রপ্তানি পণ্যের জাহাজীকরণসহ সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে। আমদানি-রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর
চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত পৃথক নির্দেশনা জারি করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, সরকারি ছুটিতে কখনো বন্দরের সেবা বন্ধ থাকে না। কোভিড মহামারিতেও আমরা সেবা চালু রাখতে পেরেছিলাম। এতে চড়া দামও দিতে হয়েছে।
কোভিডে বন্দরের ৫২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হারিয়েছি আমরা। জীবন দিয়ে হলেও আমরা বন্দরের সুনাম ও সেবা অক্ষুণ্ণ রেখেছি।
আরও পড়ুন : রাশিয়া নিয়ে ভারতকে মার্কিন পরামর্শ
তিনি জানান, প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলবে। ঈদের দিন শুধুমাত্র সকালে এক শিফটের জন্য বন্দরের অভ্যন্তরে কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঈদের দিন বিকেল থেকে কাজ চলবে পুরোদমে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে সব আমদানি-রপ্তানিকারক, শিপিং এজেন্ট, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট, প্রাইভেট অফডকসমূহসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সব স্টেক হোল্ডারদের ঈদের ছুটিকালীন পণ্য ডেলিভারি নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
আরও পড়ুন : বন্ধুত্বের সম্পর্ক, সাহায্য চাইতেই পারি
অপরদিকে, ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কার্যক্রম চালু রাখতে গত ২৫ এপ্রিল একটি নির্দেশনা জারি করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।
ওই নির্দেশনায় ৫ জন ডেপুটি কমিশনার এবং ১ জন সহকারী কমিশনারের তত্ত্বাবধানে ৭ জন রাজস্ব কর্মকর্তা, ২২ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এবং ১৩ জন শাখা সহকারীকে ২ থেকে ৪ মে পর্যন্ত ছুটি চলাকালীন শুল্কায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটির সময়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : লং মার্চের ডাক দিলেন ইমরান
বিশেষত ঈদের বন্ধের সময়ে রপ্তানির চাপ থাকে। পণ্যের শুল্কায়ন নির্বিঘ্ন করতে পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অন্য ধর্মাবলম্বী কর্মকর্তাদের ঈদের ছুটিকালীন শুল্কায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। চট্টগ্রাম কাস্টমসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে দেশের অর্থনীতিতে।
সান নিউজ/এইচএন