লাইফস্টাইল ডেস্ক : রমজানে সারাদিন রোযা রাখার পর, সূর্যাস্তের সময় ইফতার করা হয়। রোজা ভাঙার সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের পানীয় খেতে পছন্দ করি। অনেকে বাজার থেকে কেনা বা প্রকৃয়াজাত করা বিভিন্ন পানীয় পান করেন যা হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ প্রতিবেদনে আমরা ঘরে তৈরি কিছু পানীয় সম্পর্কে জানবো। যা কি না আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহেও কাজ করবে। কয়েকটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হলো :
আরও পড়ুন : সেহরিতে করণীয় ও বর্জনীয়
লেবু ও মধুর শরবত : লেবু স্বাদমতো ও এক চা চামচ মধুর মিশ্রণে তৈরি হালকা রংবিহীন এই তরলটি শরীরকে চাঙ্গা করতে বা বিপাকের প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে সাহায্য করে থাকে। প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পানীয় হিসেবে পাওয়া যায় এই তরল।
ইসুবগুল ও তোকমার শরবত : এক টেবিল চামচ তোকমা ভিজিয়ে রেখে তার সঙ্গে এক চামচ ইসুবগুল ও সামান্য মধু বা গুড় মিশিয়ে ঘরে তৈরি করা যায় এই তরলটি। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ও এসিডিটি প্রতিরোধে খুবই উপকারী।
ডাবের পানি : এই স্বচ্ছ পুষ্টিকর তরলটির সঙ্গে আর কোনো তরলের তুলনা হয় না। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই তরলের জুড়ি নেই। মাংসপেশির সুরক্ষায় ডাবের পানি অনেক সাহায্য করে। যে কেউ এই তরলটি পান করতে পারে। তবে যাদের এসিডিটি রয়েছে, তারা কিছু খেয়ে এর সঙ্গে খেলে এসিডিটি নাও হতে পারে।
আরও পড়ুন : ইফতারে করণীয় ও বর্জনীয়
ঘরে তৈরি ফলের রস : ইফতারে মৌসুমি ফলের রস ঘরে তৈরি করে খেলেও ফলের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় অনেক সাহায্য করে থাকে। কিছুটা আঁশ নষ্ট হলেও শরীরকে চাঙ্গা ও সতেজ রাখতে ফলের রস বা জুস অনেক উপকারী। কাঁচা আমের জুস, বেলের শরবত, দুধ ও কলার সেক, মাল্টার জুস, আপেলের জুস, আনারস বা তরমুজের জুস আপনাকে এই রোজায় রাখবে প্রাণবন্ত।
আখের গুড়ের শরবত : ঘরে তৈরি এই তরলটি আপনাকে শক্তি সরবরাহ করার পাশাপাশি আয়রন, পটাশিয়াম ছাড়াও নানা মিনারেলস প্রদান করবে। এটি আপনাকে অনায়াসে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করবে।
লাচ্ছি : দইয়ের লাচ্ছি ঘরে তৈরি করলে তার কোনো তুলনাই নেই। যারা ওজনাধিক্যে ভুগছে বা যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা লেবু ও লবণ দিয়ে লাচ্ছি খেতে পারবে। মিষ্টি লাচ্ছি গর্ভবতী মা, অল্প বয়সী যারা রোজা রাখছে এবং যারা কর্মজীবী, তাদের জন্য অনেক উপকারী তরল। ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে এই তরলের জুড়ি নেই।
বাদ দিন সফট ড্রিংকস বা সোডা পানি : ইফতারের সময় পানীয় হিসেবে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সফট ড্রিংকস বা সোডা পানি পছন্দ করেন। এ বিষয়ে অবশ্যই সাবধান হতে হবে। কারণ, সোডাজাতীয় পানি আমাদের খুব দ্রুত ডিহাইড্রেট করে। তাই রমজান মাসে, বিশেষ করে ইফতারের সময় সোডা পানি পান না করাই উচিত।
সান নিউজ/জেএইচ