সান নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, রাশিয়ান মহাকাশ বাহিনী দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের মার্কোভো, ক্রামতোর্স্ক ও খারকভ অঞ্চলের নোভোসিনোভোর কাছে বিদেশি সেনাদের অস্থায়ী স্থাপনার পয়েন্টগুলোতে নির্ভুল হামলা চালিয়েছে, এতে ৭০ জনের বেশি বিদেশি ভাড়াটে সেনা নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ৪০০ সৈন্যকে হত্যার দাবি
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) তাস, রয়টার্স, আল-জাজিরা এক প্রতিবেদন এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া হিমারস মাল্টিপল রকেটলঞ্চার থেকে একটি ইউক্রেনীয় রকেট হামলায় দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) মেকেয়েভকা শহরে ৬৩ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মার্কিন তৈরি হিমারস লঞ্চার থেকে ছোড়া চারটি রকেট আঘাত করেছিল। ফলে ক্ষতির সংখ্যা এত বেশি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের আইএমএফ’র হুঁশিয়ারি
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
সান নিউজ/এনকে