বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার সরকারের আটজন উপদেষ্টার 'সীমাহীন দুর্নীতি'র প্রমাণ নিজের কাছে রয়েছে দাবি করার পর এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
গত বছর ৮ই অগাস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক সঙ্গে এত জন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আসার পরপরই সরকারের দিক থেকে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
মি. সাত্তার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধের দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব শনিবার এক বিবৃতিতে অভিযোগকারীর কাছে থাকা সব প্রমাণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
ওইদিন এক বিবৃতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মি. সাত্তারের ওই বক্তব্যের দায় সম্পূর্ণ তার এবং এর সাথে তার দলের কোনো সম্পর্ক নেই।
কিন্তু মি. সাত্তার এখনো তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি। সে কারণে সরকার বা দুর্নীতি দমন কমিশন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিবে কি-না কিংবা অভিযোগকারী নিজেই সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে তথ্য প্রমাণ জমা দিবেন কি-না তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ডঃ ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মি. সাত্তার দুর্নীতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে বক্তব্য দিয়েছেন। সে কারণে তার উচিত হবে দালিলিক প্রমাণগুলো সরবরাহ করা।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, অভিযোগকারী সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে তথ্য উপাত্ত না দিলে ভবিষ্যতে দুর্নীতির অভিযোগ আসলে তা গুরুত্ব হারানোর আশংকা তৈরি হবে।
শনিবার থেকেই মি. সাত্তার তার ফোন বন্ধ করে রাখায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন থেকেও।
সাননিউজ/এসএ