শরীয়তপুর প্রতিনিধি: পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে শরীয়তপুরে মাসব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় ২০ টি পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আংগারিয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রোজার আগে লেবুর বাজারে অস্থিরতা
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার কাশিপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছেন।
এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আংগারিয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি স্বপন হাওলাদার। এ সময় সমিতির সহ-সভাপতি নূর হোসেন নয়নসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সমিতি সূত্রে জানা যায়, তাদের এ কর্মসূচি মাসব্যাপী চলমান থাকবে। ফলে ক্রেতারা নির্ধারিত জায়গা থেকে এসব পণ্য কিনতে পারবেন। শরীয়তপুরের আংগারিয়া বাজার ও কাশিপুর মাদ্রাসা মাঠ থেকে নিয়মিতভাবে ক্রেতাগণ এ সকল পণ্য ক্রয় করতে পারবে। পর্যায়ক্রমে জেলার বিভিন্ন স্থানেও এ কার্যক্রম চালু করা হবে।
জানা যায়, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা, যা বাজমূল্য থেকে ৫ টাকা ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে। ১১০ টাকা কেজির মসুর ডাল ৮ টাকা ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০২ টাকায়। ১০৫ টাকা কেজির ছোলা-বুট বিক্রি হচ্ছে ৯৬ টাকায়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
এছাড়া চিনি, চিঁড়া, মুড়ি, গুড়, লবন, জিরা, হলুদ ও মরিচ গুড়াসহ আরও অনেক পণ্য বাজার মূল্য থেকে ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আংগারিয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি স্বপন হাওলাদার বলেন, পবিত্র রমজান মাসে শরীয়তপুরের সাধারণ মানুষকে একটু শান্তি দিতে আমাদের এ ক্ষুদ্র আয়োজন।
তবে আমার একার পক্ষে সমগ্র জেলার প্রতিটি এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন। তাই আমাদের মতো করে অনান্য প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এগিয়ে আসে, তাহলে ক্রেতা সাধারণ একটু হলেও স্বস্তি পেত।
সমিতির সহ-সভাপতি নূর হোসেন নয়ন বলেন, রমজান মাস আসলেই নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায়। অথচ খবরে দেখলাম কাতারে রমজানকে সামনে রেখে ৯০০ পণ্যের দাম কমানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চকবাজারে কারখানায় আগুন
কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেও দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই মানুষকে একটু শান্তি দিতে আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। এ সময় তাদের এ কাজে সহায়তা করেন সমিতির সদস্য লিজা ও স্বপ্না।
পণ্য কিনতে আসা বৃদ্ধ মোকলেস মোল্লা বলেন, আমি বুড়া মানুষ কামাই করতে পারি না। পোলায় কামাই করে যা পায় তা দিয়া কষ্ট করে বাজার করে খাই। এখন বাজারের জিনিসপত্রের যে দাম, তা শুনলে ভয় লাগে। আজকে একজনে কইল এখানে বাজার থেকে কমে মালামাল কিনতে পারুম। তািই এখানে আইছি।
মিতু নামে এক গৃহবধূ বলেন, স্বামী গত এক বছর ধরে দুবাই গেছে। কিন্তু তেমন একটা কাজ না থাকায় টাকা পাঠাইতে পারে না। যাবার সময় ধার-দেনা করে গেছে, সেটাই শোধ করতে পারিনি। এখন জিনিসের যে দাম, বাজারে যাইতে ভয় করে। তবে আমার খালার কাছে শুনলাম, এখানে কম দামে জিনিস কিনতে পারুম।
সান নিউজ/এনজে