নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমিল্লা : অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে কুমিল্লায় ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি। পাশাপাশি এ মহান ভাষা সৈনিকের স্মৃতি রক্ষায় নেই কোন উদ্যোগ। এতে ভাষা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নতুন প্রজন্ম।
ভাষা সংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ১৯৪৮ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাব তুলেছিলেন তিনি। তবে তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৯শে মার্চ গভীর রাতে ধর্মসাগরের পশ্চিমপাড়ের বাড়ি থেকে তাকে ও তার ছোট ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হলেও তাদের মরদেহ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাড়িতে এখন আর বসবাস করেন না তার কোনও স্বজন। দেখভালকারী সুধন মিয়া মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। দুটি কক্ষে বসবাস করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, আমরা এতো বছর থেকে থাকছি কোন কিছুই পাইনি। বাড়িটি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।
সীমানাপ্রাচীর না থাকায় বাড়িটি পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। এমন অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
২০১০ সালে বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে তৎকালীন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী বলেছিলেন, ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি জাদুঘর করা হবে। কিন্তু ১০ বছরেও হয়নি সে জাদুঘর। তবে, সিটি মেয়র বলছেন, এই ভাষা সৈনিকের স্মৃতি রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, বাড়িটি উনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এখন সরকার যদি এটিকে সংরক্ষণ করতে চায় তাহলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নির্দেশ দিলে আমরাও আমাদের মত করে সংরক্ষণ করবো।
শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে এই উদ্যোগ, তৈরি হবে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি জাদুঘর এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
সান নিউজ/এসএম