জাতীয়

অবশেষে দূর হচ্ছে হাতিরঝিলের ক্যান্সার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অবশেষে দুর হচ্ছে হাতিরঝিল প্রকল্পের ক্যান্সার বিজিএমইএ ভবন। ভবনটি নির্মাণে যেমন রাজউকের অনুমোদন ছিল না তেমনি জমি গ্রহণও করা হয়েছে অবৈধভাবে।

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরও কখনও পোশাক শিল্প ইমেজ সংকটসহ নানা আযুহাতে সময় ক্ষেপন করে তৈরী পোশাক শিল্প মালিকরা। যখনই যে সরকার ক্ষমতায় ছিলো সেই সরকারেরই অনুকম্পা পেয়েছে পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ১৬ তলা ভবনটি।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে এবং উন্মুক্ত স্থান ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ ভঙ্গ করে বেগুনবাড়ি খালের একাংশ ভরাট করে গড়ে তোলা হয় বিজিএমইএ ভবনটি। ১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

২০০৬ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হলে একই বছরের ৮ অক্টোবর অবৈধ এ ভবনটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে বিজিএমইএ ভবনটি তাদের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে।

জলাশয়ে ভবনটি নির্মাণ করায় শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবেশবাদীরা। ২০১০ সালের ২ অক্টোবর ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এজ’ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিনই প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন আদালতে উপস্থাপন করলে বিষয়টি আদালতে গড়ায়।

বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙ্গার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ’র ভবন ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন।

রায়ে বিজিএমইএকে নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি ভাঙতে বলা হয়। ওই বছরের ৫ এপ্রিল বিজিএমইএ’র আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ান।

এর দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপির পর লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। যেটা ২০১৬ সালের ২ জুন খারিজ হয়ে যায়।

এরপর বিজিএমইএ আবার রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) আবেদন করেন। তাও শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২ জুন সেই সময়কার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন।

রায়ে বলা হয়, ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ভবন ছাড়তে উচ্চ আদালতের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ।

এরপর ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভবনটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় রাজউক। নানামুখি চাপে পরে ভবনটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বিজিএমইএ। অবশেষে ঘটা করে মন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বহুল আলোচিত অবৈধ এ ভবনের ভাঙা কার্যক্রম।

সান নিউজ/হাহক

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ফেঁসে যাচ্ছেন ভিসি ও ড. ওবায়দুল্লাহ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: উচ্চ আদা...

উলিপুরে ইয়াবাসহ আটক ১

কামরুজ্জামান স্বাধীন, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্র...

সরকারি শৌচাগারে দলিল লেখকের চেম্বার!

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্...

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে দেশে আই...

আফগানিস্তানে ৮০ ছাত্রী হাসপাতালে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর আফগানিস্...

জামিন পেলেন ইভ্যালির রাসেল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স প...

দেশে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৭৯ হাজার

সান নিউজ ডেস্ক: সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন,...

ইসরায়েলি সেনার গুলিতে শিশুর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত ফিলিস্তি...

হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল বাদ...

২ কেজি ক্রিস্টাল মেথসহ যুবক আটক

জেলা প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফে দুই কেজি ১১২ গ্রাম ক্রি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা