লাইফস্টাইল ডেস্ক: বিশ্বের জনপ্রিয় পানীয় হলো চা যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে উপকার নাকি অপকার সেটা নির্ভর করে কোন ধরনের চা পান করছেন তার উপর।
আরও পড়ুন: ‘সিঙ্গেল দিবস’ আজ
বেশিরভাগ মানুষই চিনি মিশ্রিত দুধ চা বা রং চায়ে আসক্ত। তবে দুধ বা চিনি মিশ্রিত চা কখনো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারেনা। দিনে এক কাপ চা তেমন কোনো ক্ষতি না, তবে ১ কাপ এর চা দীর্ঘমেয়াদী খেলে স্বাস্থ্য জটিলতার কারণ হতে পারে।
যদি আপনি ১ মাসের জন্য চা পান করা থেকে বিরত থাকেন তাহলে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মত হলো, ‘এক মাসের জন্য চা ছাড়লে তা শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন ঘটে। যেমন- ক্যাফেইন কম খাওয়ার কারণে ভালো ও উন্নত ঘুম হয় এমনকি উদ্বেগ কমতে পারে বলে ধারাণা করা যায়।’
অতিরিক্ত চা পানের ফলে প্রস্রাব বেশি হয়, যা ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। তাই চা পান না করলে শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং পানিশূন্যতার ঝুঁকি কমে যায়।
আরও পড়ুন: ফুসফুস ভালো রাখার উপায়
ভারতে পুনের রুবি হল ক্লিনিকের পুষ্টিবিদ ড. কমল পালিয়ার মতে, ‘চা পান করা কমালে শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কমে, যার ফলে সেলুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এ অভ্যাস হজমজনিত রোগ ও নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
ডায়েট থেকে চা বাদ দেওয়ার কিছু অসুবিধাও আছে উল্লেখ করে কমল পালিয়া জানান, ‘অনেক সময় কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে চা পান করা মানসিক শান্তির কারণ হতে পারে। তাই এটি ছেড়ে অনেক সময় দিলে মানসিক পরিবর্তন ঘটে।’
এ বিষয়ে ভারতের আইথ্রিভ প্রতিষ্ঠানের সিইও ও পুষ্টিবিদ মুগদা প্রধান একমত পোষণ করেন। তার ধারণা মতে, ‘আপনি যদি নিয়মিত চা পানের অভ্যাস ত্যাগ করেন তাহলে হঠাৎ ক্যাফেইন ছাড়ার কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন- ক্লান্তি, মনোযোগের অভাব, মস্তিষ্কের কুয়াশা, তন্দ্রা ও মাথাব্যথা এসব লক্ষণ কয়েকদিন স্থায়ী থাকতে পারে, পরে ঠিক হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: লেবু ইলিশ রান্নার রেসিপি
কিন্তু যদি অতিরিক্ত চা পানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চান তবে আপনি এর পরিবর্তে ভেষজ চা ও ফলের রস পানের অভ্যাস করতে পারেন। এতে চায়ের নেশাও কাটবেে এমনকি শরীরেও মিলবে পুষ্টি।
পুষ্টি বিদদের মতে, ‘ক্যামোমাইল বা পেপারমিন্টের মতো ভেষজ চা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এমনকি ফলের রস শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করে। চাইলে লেবু বা মধু মিশিয়েও হালকা গরম পানিতে চুমুক দিতে পারেন। এতে আরাম বোধ করবেন।’
অনেকের আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা আছে তাদের যে কোনো চা পানে সতর্ক হওয়া উচিত। কেননা ট্যানিন আয়রন শোষণকে বাধাগ্রস্ত কর চা। এছাড়াও হার্টের অ্যারিথমিয়াস বা উদ্বেগজনিত ব্যাধি মতো কিছু ব্যক্তিদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চা পান না করা।
সান নিউজ/একে/এএ