এম.এ আজিজ রাসেল: শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, ‘দেশের লবণ শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে প্রান্তিক চাষীরা। প্রধানমন্ত্রী এই প্রান্তিক মানুষদের কথা চিন্তা করে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ভারী শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। যার অংশ হিসেবে কক্সবাজারেই হবে লবণ বোর্ড। এই বোর্ডে আওতায় একটি লবণ গবেষণা কেন্দ্র হবে। এতে লবণ শিল্পের উন্নয়নে সকল কাজ সম্পাদন হবে।’
শনিবার (২৮ মে) সকালে কক্সবাজারের একটি তারমানের হোটেলের হলরুমে ‘ইউনিসেফ’ আয়োজিত সর্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে কক্সবাজার বিশাল অঞ্চল। এখানে অর্থনীতির অনেক সম্ভাবনা আছে। সেজন্য সরকার কক্সবাজারকে নানাভাবে সজ্জিত করছে। আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে রিফুয়েলিংয়ের মাধ্যমে পুরো বিশ্ব পর্যটন রাজধানীর সাথে কানেক্ট হবে। এখানে হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। পাশাপাশি লবণ, মৎস্য ও অন্যান্য নিজস্ব সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। কাজেই সিঙ্গাপুরের চেয়ে কোন অংশ কম হবে না কক্সবাজার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রস্তুত আছি। আমাদের বিশাল জনশক্তি আছে। আছে নিজস্ব বাজার। যার জন্য মানসম্মত পণ্যের চাহিদা বেশি। তাই যেটাই করি প্রান্তিক চাষীরা যেন উপকৃত হয়। তাদের ন্যায্য মূল্য পেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সেটাই চান। মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন সুবিধাভোগী না হয়।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিক চেয়ারম্যান মু. মাহবুবুর রহমান, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়কে বহুমাত্রিকা কাজ করতে হয়। তবে লবণ চাষী, মিল মালিক ও ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় সকল উদ্যোগ নিতে হবে। কক্সবাজারে ৯৯% লবণ উৎপাদন হয়। তাই এখানে লবণ বোর্ড গঠন না হলে কোন আলোচনাই ফলপ্রসূ হবে না। তাছাড়া ইসলামপুরে ৭০ ভাগ লবণ উৎপাদন হয়। এই এলাকাকে লিল্পাঞ্চল ঘোষণা করতে হবে।’
আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, ‘একটি চক্র সালফারের নামে ক্লোরাইড আমদানি করে লবণ শিল্পকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। সংগ্রাম ছিল চাষীদের ন্যায্যা মূল প্রাপ্তির। প্রধানমন্ত্রীর বদন্যতায় এটি এ বছর হয়েছে। মনে রাখতে হবে মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্য চাষীরা দায়ী না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মাঠ পর্যাযে গিয়ে কেউ লবণ চাষীদের উদ্বুদ্ধ করে না। শুধু তাদের থেকে সুবিধা নেয় সবাই। অথচ অন্যান্য শিল্পে চাষীদের নানা প্রণোদনা দেওয়া হয়। তাই মিলারদের লবণ চাষীদের অনুপ্রাণিত করতে হবে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বিসিক পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ কক্সবাজার ফিল্ড অফিস প্রধান ইজাতিল্লাহ মজিদ।
সান নিউজ/এনকে