নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে গত দুই বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর কারণে অপূরণীয় ক্ষতির মুখে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। এর কারণে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক শিশু। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে বিবৃতিতে শিক্ষা খাতের বিপর্যয় এড়ানোর জন্য ইউনিসেফ বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএমপির ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাকে বদলি
সুপারিশগুলো হলো-
স্কুলগুলো পুরোপুরি কিংবা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত। এ কারণে স্কুল খোলা রাখার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
কোভিড-১৯ ঝুঁকি প্রশমনের ব্যবস্থাগুলোই স্কুল খোলা রাখতে সাহায্য করে- বলছে ইউনিসেফ। সুপারিশে বলা হয়েছে, ডিজিটাল সংযুক্তির পেছনে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পারলেই কোনো শিশু পেছনে পড়ে থাকবে না। প্রতিটি শিশুকে স্কুলে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে আছে প্রতিটি কমিউনিটির প্রান্তিক শিশুদের ওপর বিশেষ লক্ষ্য রেখে কিছু বিষয়ে বিস্তৃত সহায়তা করা। যেমন- শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ঘাটতি পূরণে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সহায়তা, সুরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদান।
শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের অবিলম্বে টিকা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় সুপারিশে। প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার পরই শিক্ষক ও স্কুল কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মনে করছে ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন: একাদশে ভর্তির ফলাফল রাতে
এ সংক্রান্ত সুপারিশে সশরীরে স্কুলে যেতে টিকাদানকে পূর্বশর্ত না করার আহ্বান জানিয়েছে শিশুর অধিকার এবং উন্নয়নে কাজ করা বিশ্ব সংস্থাটি। সুপারিশে নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, অগ্রাধিকারপ্রাপ্য জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি সুরক্ষিত করার পর টিকার যথেষ্ট প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে ইউনিসেফ শিশুদের টিকাদানকে সমর্থন করে।
সাননিউজ/এমএসএ