নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করতে সব খাল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে, সেই রিপোর্টের আলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এবং স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর ভিতরে বহমান খালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হাতে দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক সময় খালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হাতেই ছিল। পরে কোনও এক সময়ে রাষ্ট্রপতির আদেশে সেটা ঢাকা ওয়াসার হাতে দেওয়া হয়। এখন আমাদের দুজন মেয়র। তারা খালের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কাজটা ওয়াসার চেয়ে সিটি করপোরেশন কাজটা ভালোভাবে করতে পারবে। তবে এই কাজ করতে গিয়ে ওয়াসার কিছু সক্ষমতা অর্জন হয়েছে। সিটি করপোরেশনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হলে সেই সক্ষমতাও সিটি করপোরেশনের কাছে নেওয়া উচিত।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি সিটি করপোরেশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পানি নিষ্কাশনের জন্য দায়বদ্ধ। দুই সিটির মেয়র চান তারা এটি করলে এটি ভালো করতে পারবেন। ড্রেনেজ সিস্টেমের বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি। এজন্য একটি কমিটিও করেছি, পানিসম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইব্রাহীমকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে।
রাস্তা খোঁড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেসব আধুনিক শহর গড়ে উঠেছে সেগুলো করার সময় ইউটিলিটিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য পাইপলাইন স্থাপন করতে হয় এবং সময় সময় ক্যাপাসিটির জন্য পরিবর্তনও করতে হয়। এ কাজটা করার জন্য তারা ডাকটিং করেছে, কিন্তু ঢাকা শহরের ক্ষেত্রে ডাকটিং করা হয়নি। এটার সত্যিকার ম্যাপ খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর। পানির লাইন কোথা দিয়ে গেছে কেউ জানে না। যে কারণে এই সমস্যায় আমাদের পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মেয়রসহ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কীভাবে এগোতে পারি। নতুন যে শহরগুলো গড়ে উঠছে সেগুলোতে ডাকটিং ফ্যাসিলিটি থাকবে। তবে যেগুলো হয়ে গেছে সেগুলো নিয়ে তো কিছু করার নেই, ফলে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।
সান নিউজ/এসএ/এস