জাতীয়

স্থলবন্দরে দুর্নীতির ১৪টি উৎস চিহ্নিত করে দুদকের প্রতিবেদন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর প্রণীত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নৌ-মন্ত্রণালয়ে দাখিল করে দুদক। স্থলবন্দরে দুর্নীতির ১৪টি উৎস চিহ্নিত করেছে তারা। এই দুর্নীতি প্রতিরোধকল্পে তারা ২৮টি সুপারিশও করেছে প্রতিবেদনে।

২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুদকের পক্ষ থেকে কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য দুর্নীতিবাজ ধরার চেয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। আমরা ইতোমধ্যে ১৬টি মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। প্রতিটি মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনগুলো সাদরে গ্রহণ করেছে। এটি শুধু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নয়, এটি একটি দলিল ও বটে।

মোজাম্মেল হক খান আরও বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীও আমাদের প্রতিবেদনটি সাদরে গ্রহণ করেছেন। আমাদের বিশ্বাস এই প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে তারা যদি আমাদের সুপারিশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করেন, তাহলে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব।

প্রতিবেদন গ্রহন করে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা দুদকের এই প্রতিবেদনটি সাদরে গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছি আমরা। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমাদের একটি লক্ষ্য। তবে আমাদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, দুদকের প্রতিবেদনের সঙ্গে দ্বিমত করবো না। কিছু কিছু ত্রুটি আছে তা স্বীকার করছি। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এককভাবে কাজ করে না। সেখানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, এনবিআর কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজিবি কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করে। দুর্নীতি বন্ধে আমরা তৎপর আছি। দুদকের অনুসন্ধানী এই প্রতিবেদনটি আমাদের কাছেও একটি দলিল।

বাংলাদেশ স্থলবন্দরে যেসব দুর্নীতির উৎস দুদক চিহ্নিত করেছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তুলে ধরা হলো।

এর মধ্যে বিনা শুল্কে আমদানিকৃত মালামাল ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে।

এই সংস্থার কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়। সেক্ষেত্রে দুদকের সুপারিশ, সরকারি ক্রয় আইন ফলো করা।

আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে স্থলবন্দরে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগকৃত লোকের নামে বিলও তোলা হয়। কিন্তু দেখা যায়, আসলে কোনও লোক নিয়োগ করা হয়নি। এ কারণে সেখানে মনিটরিং জোরদার করতে বলা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, মালামাল হ্যান্ডলিংয়ে ঘুষের মাধ্যমে অযোগ্য ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সুষ্ঠুভাবে এই হ্যান্ডলিংয়ের কাজ যোগ্য ঠিকাদারকে দেওয়ার ক্ষেত্রে মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রাজস্ব আদায় স্থলবন্দরগুলোর একটি মূল কাজ। কিন্তু ট্যারিফ পলিসি ফলো না করে অথবা ট্যারিফ পলিসি এড়িয়ে ঘুষের মাধ্যমে পণ্য ছাড় করা হয়। স্থলবন্দরের এই কার্যক্রমে গভীর মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে।

সান নিউজ/সালি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা