মতামত

সাংবাদিকদের জন্য নতুন শান্তনা পুরষ্কার ‘হাইকোর্টকে ধন্যবাদ’

মেহেদী হাসান অর্নব: ‘সাংবাদিক তথ্য খুঁজবেই, এতে অপরাধের কিছু নেই- হাইকোর্ট’ ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ফেনীর নুসরাত হত্যা মামলায় সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের মোবাইলে নুসরাতের জবানবন্দি সংক্রান্ত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে হাইকোর্ট এ কথা বলেছিলেন।

আরও পড়ুন: বাবুল আক্তার ‘অত্যন্ত চতুর মানুষ’

আবার সম্প্রতি রাজশাহীতে এটিএন নিউজের সাংবাদিক ও ক্যামেরা পার্সনের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার পর গত বছর হাইকোর্টের করা এ উক্তিটিই আবার নতুন করে ফুলিয়ে ফাপিয়ে প্রচার করছেন সাংবাদিকরা। এটা প্রচার করে অনেক সাংবাদিকই নিজেকে নিজে শান্তনা দেয়ার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমার কাছে এটাকে অনেকটা লটারিতে বা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বা কোন স্থান অর্জন করতে না পেরে পাওয়া শান্তনা পুরষ্কারের মতনই লাগছে!

অথচ যদি একটু চিন্তা করি তবে দেখা যাবে, হাইকোর্টের এই মূল্যায়নটি সাংবাদিকদের গলার কাঁটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। কারণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোন সরকারি, বেসরকারি, প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা, ভিডিও ধারণ করা যাবে না, এক কথায় বলতে গেলে সংবাদ সংগ্রহই করা যাবে না, ওই প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া। এটা অনেকটা চোরের অনুমতি নিয়ে চুরির ছবি তোলার মতন অদ্ভুত বিষয়! যাই হোক তো আমরা এটা নিশ্চিত গত বছর হাইকোর্টের করা ওই মন্তব্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সাথে সাংঘর্ষিক।

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় রুশ হামলায় নিহত ১২০

বলাই বাহুল্য, হাইকোর্টের ওই কথাটি নিছকই একটি মন্তব্য বা মূল্যায়ন মাত্র, কোন আইন কিন্ত নয়! তাহলে হাইকোর্টের ওই মূল্যায়ন তো সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়। বরং সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য যথাযথ ও সুনির্দিষ্ট আইন প্রনয়নই অতীব জরুরি। এবং সে আইনের দাবিতে সাংবাদিকদের প্রয়োজনে মাঠে নামা উচিত।

কিন্ত না, বাস্তবে দেখা যায় অধিকাংশ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় অন্য কোন সাংবাদিক দলের ইন্ধন বা অপতৎপরতা থাকে। আর এমনটা চলতে থাকলে কুড়িগ্রাম, টেকনাফ, রাজশাহীর, মতন এমন সব ঘটনা অহরহ ঘটতে থাকবে। আর আমরা হাইকোর্ট সাংবাদিক সুলভ কবে কি মন্তব্য দিলো তা ফেসবুকে পোস্ট করে নিজেই নিজেকে শান্তনা দিতে থাকবো আর এভাবেই মিথ্যা শান্তনায় দায় সারবো। এটাই একসময় ঐতিহ্যে পরিনত হবে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বাংলাদেশ

আমার বিশ্বাস, সিনিয়র সাংবাদিক নেতারা চাইলে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রনয়ন সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদিও অধিকাংশ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় কম বেশি বিচার কিন্ত হচ্ছে। তবে যতদিন সুনির্দিষ্ট সাংবাদিক সুরক্ষা আইন না আসছে ততদিন পর্যন্ত আমরা কেউই কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ নয়৷ যারা উচ্চ পর্যায়ের সাংবাদিক নেতা তারা যদি এটার গুরুত্ব অনুধাবন করে কোন পদক্ষেপ নিতেন তাহলে দৃশ্যপট ভিন্ন হলেও হতে পারতো।

লেখক: অনুসন্ধানী সাংবাদিক, সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত), সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা।

সান নিউজ/কেএমএল

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শিবগঞ্জে রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর

শিবগঞ্জের শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ি হতে বিনোদপু...

সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহ দিবসে দিনাজপুরে শপথ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

সোমবার (৩০ জুন) দিনাজপুরের লোকভবন টাউন হল প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক সাঁওতাল কৃষক বিদ...

পদ্মা-যমুনায় ইলিশের আকাল, জেলেরা ফিরছে খালি হাতে

দেশ-বিদেশে সুখ্যাতি থাকলেও গোয়ালন্দের যমুনা ও পদ্মা নদীর মোহনায় জেলের জালে দে...

বগুড়ায় পেটে লাথি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলার অভিযোগ

বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে এক গর্ভবতী গৃহবধুকে নির্যাতন সহ পেটে লাথি মেরে বাচ্চা...

মুরাদনগরকাণ্ড, মামলা তুলে নিতে চান ভুক্তভোগী

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে চাঞ্চল্যকর কোন কিছু ভাইরাল হতে সময় লাগে না।...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা