আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমা বিশ্বের সকল হুমকি উপেক্ষা করে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পূর্ব ইউক্রেনের এই দুটি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সেখানে ‘শান্তি’ বজায় রাখার জন্য সৈন্য মোতায়েন করবে রাশিয়া এমন ঘোষণার পর জরুরি বৈঠকে বসেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। তারা বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে সমাধানের আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণাটি ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার অপ্রীতিকর লঙ্ঘন’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের জন্য ইউক্রেনের আহ্বানকে সমর্থন করছে তারা।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের সীমান্তের চারপাশে তার সামরিক বাহিনীর সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে রাশিয়া। এমন অবস্থায় মার্কিন দাবি যে কোনো সময় ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে পারে মস্কো। যদিও রুশ সরকার দাবি করে আসছে যে এটি করার কোন পরিকল্পনা নেই তাদের।
তবে স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। রুশ জনগণ তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে বলেও আত্মবিশ্বাসী তিনি।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুতিন জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতাদের ফোনালাপে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। পরে ডিক্রিতে সাক্ষর করে তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মস্কো ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদিরা লড়াই চালিয়ে আসছে। বিগত ৬ বছরে কিয়েভ সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে অঞ্চল দুটিতে। সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স।
সান নিউজ/ এইচএন