আন্তর্জাতিক

করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে হু’র সতর্কতা 

সান নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনা ভাইরাস মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে বলে গভীর আশঙ্কার কথা জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ভয়াবহ সেই পরিস্থিতি ঠেকাতে সীমান্ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণজমায়েত বন্ধ করে দেওয়াসহ দ্রুত বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হু পরিচালক ডক্টর পুনাম ক্ষেত্রপাল সিং ১৭ মার্চ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

হু জানিয়েছে, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও উত্তর কোরিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের প্রায় সবগুলোতেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় খুব দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এসব দেশের সরকারকে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের হু পরিচালক বলেন, এ অঞ্চলে দিন দিন আরও বেশি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের এ ভাইরাস মোকাবিলায় আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে, এবং তা করতে হবে দ্রুত।

হু জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিছু কিছু দেশ সামাজিক মেলামেশার মাধ্যমে বড় মাত্রায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দিকে এগিয়ে চলেছে।

লাগাতার করোনা ভাইরাস আক্রান্ত নিশ্চিত হতে পরীক্ষা, আক্রান্তকে চিহ্নিত করা, চিকিৎসা প্রদান, কোয়ারেন্টাইন করা ও তারা কাদের সঙ্গে মিশেছে তা খুঁজে বের করার কাজ চালিয়ে যেতে হবে বলে এরইমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে জোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, মানুষের মধ্যে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করতে হবে। এই ব্যাপারে আরও জোর দিতে হবে। এটি করতে পারলেই করোনার সংক্রমণ বহু মাত্রায় কমানো সম্ভব। আমাদের এই মুহূর্তেই কাজ শুরু করতে হবে।

এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মাত্রায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এ দেশটিতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার জায়গাটি ছিল এক তাবলীগ জামাত। ওই জামাতে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। আর সেখান থেকেই করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

এতদিনে এসে মালয়েশিয়া সীমান্ত বন্ধ ও সব ধরনের পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। বন্ধ করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।

ইন্দোনেশিয়াতেও করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭২। এদিকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা ভাইরাসকে ‘চড় মারবেন’ বলে দায়িত্বজ্ঞানহীন মশকরাও করেন। কিন্তু এখন এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সুদূরপ্রসারী কোয়ারেন্টাইনের মুখোমুখি দেশটি।

এদিকে মিয়ানমার ও লাওসে এখন পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি বলে জানানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের দাবিকে সন্দেহজনক মনে করছেন।

সব মিলিয়ে সার্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে করোনা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় আর গড়িমসি করার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি করোনায় সবেচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশগুলোর মতো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কেননা এ অঞ্চলটি অধিক মাত্রায় ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র। উন্নত দেশগুলোর মতো এসব দেশের সার্বিক সক্ষমতাও অনেক কম।

সান নিউজ/সালি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাস চাপায় চুয়েট...

রাজধানীতে শিক্ষার্থীর আতহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শাঁখা...

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ছে না ছুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবহাওয়া অধিদপ্...

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাসে তিন...

রংপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়

রংপুর প্রতিনিধি : সারাদেশের মতো র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা