নিজস্ব প্রতিবেদক. আমলাতন্ত্র এবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা চিকিৎসকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে চিকিৎসক ক্যাডারের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আমলারা সরকার, জনগণ ও চিকিৎসকদের মুখোমুখি করে এমন ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন বলে জানান বিএমএ নেতারা।
মঙ্গলবার ( ২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। নেতারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা যোগদানের পর থেকেই একের পর এক বিভ্রান্তিমূলক ও অজ্ঞতাপ্রসূত অনধিকার বিষয়ে মন্তব্য করছেন।
এসব বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য চিকিৎসা পেশার মান-মর্যাদাকে ক্রমাগত আঘাত করছে বলে মনে করেন। তারা অভিভাবক না হয়ে শাসকের ভাষায় কথা বলেন। মহামান্য আদালতের রায় থাকার পরেও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়নে বাধা দিয়ে আমলাতন্ত্র ক্রমাগত চিকিৎসক নিগ্রহের পথকে সুগম করে দিচ্ছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চিকিৎসক নিগ্রহ, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, চিকিৎসক গ্রেফতার, এমনকি রোগীর স্বজনদের দ্বারা চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনা অহরহ ঘটছে। চিকিৎসাধীন কোনও রোগীর মৃত্যু ঘটলেই রোগীর স্বজন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ডে চিকিৎসকদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভের সৃষ্টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।
রাষ্ট্রযন্ত্রের উদাসীনতা অপকর্মকারীদের উৎসাহিত করলে চিকিৎসা সেবা প্রদানে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করবে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে নিজেরাই চিকিৎসক নিগ্রহে জড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হয়রানি আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য চিকিৎসকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ধরনের অন্যায় আচরণ চলতে থাকলে যেকোনো সময় দেশের চিকিৎসা সেবা মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই অনতিবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, প্রত্যেক চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা তদন্ত করে আঘাতকারীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা ও অন্যায়ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক চিকিৎসক গ্রেফতারের ঘটনা বন্ধ করতে হবে।