অপরাধ

লকডাউন চলাকালীন বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাপ্ত হতে যাওয়া বছরে দেশে করোনায় উল্লেখযোগ্য হারে নারী শারীরিক, মানসিক, যৌন, অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেক নারী ও শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। স্কুল বন্ধ থাকায় বাল্যবিবাহও বহুলাংশে বেড়ে গেছে।

বেসরকারি সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ কয়েক দফা জরিপের ফলাফলে জানায়, প্রত্যেক দফায় এমন অসংখ্য নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা আগে কখনও নির্যাতনের শিকার হয়নি। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৪৮ নারী, মানসিক নির্যাতনের শিকার ২ হাজার ৮ জন, যৌন নির্যাতনের শিকার ৮৫ জন এবং অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৩০৮ জন নারী।

ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪ জন নারী, হত্যা করা হয়েছে ১ জনকে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে ২০ জন নারীকে। ৪২৪ জন শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহ হয়েছে ৩৩টি এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪২টি।

৪টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৬ জনকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়, অপহূত হয়েছে ২ জন, যৌন হয়রানির শিকার ১০ জন এবং ত্রাণ নেওয়ার সময় ১০টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুদের মধ্যে শতকরা ৯২ ভাগ তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়দের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। আর নারীরা বেশির ভাগই স্বামীর হাতে।

নভেম্বরের শেষে দেশের ৫৯ জেলায় ১০ লাখ নারীর অংশগ্রহণ এ জরিপটিতে দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার নারী, পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী প্রথমবারের মতো নির্যাতিত হয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনার কারণে লকডাউন চলাকালে নারীর ওপর সহিংসতার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে।

মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলাকালে প্রথম ২ মাস (মার্চ ও এপ্রিল) এর তুলনায় মে মাসে পারিবারিক সহিংসতা ৩১ শতাংশ বেড়েছে। পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের চেয়েও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত যেসব নারী পারিবারিক নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাদের ভেতর ৪৭ শতাংশ মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এরপর প্রায় ৩০ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘সারাবিশ্বে করোনার সময় লকডাউনে নারী নির্যাতন ২০ ভাগ বেড়েছে এবং বাংলাদেশও বেড়েছে। আর এখানে স্বাভাবিক অবস্থায়ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেশি। এ সময় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে শিশু ধর্ষণ হয়েছে বেশি।বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যমতে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৪৬ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের শিশু-কিশোরীই বেশি যাদের বয়স ৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। শিশুধর্ষণের বেশির ভাগ ঘটনায় আশপাশের মানুষই দায়ী। উল্লেখ্য, ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতনের অপরাদের ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হয়।

সান নিউজ/এসএ/এস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

শহীদ শেখ জামাল’র জন্ম

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অত...

রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

মুন্সীগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভূমি অফি...

লক্ষ্মীপুরে চলছে ৫ ইউনিয়নে ভোট

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

২ মে পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহ...

ফের ৬দফা কমলো সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফের টানা ৬ দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়...

গরমে অসুস্থ রিকশাচালকের প্রাণ রক্ষা করলেন ট্রাফিক পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিট...

বগুড়ায় বসতবাড়িতে বিস্ফোরণ

জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার একটি বসতবা...

৩য় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ন...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা