ফাইল ছবি
সারাদেশ

তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: শেষ পৌষ ঝরাচ্ছে মাঘের শীত। তীব্র শীতের প্রকোপে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতে জর্জরিত শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।

আরও পড়ুন: সবজির বাজারে চড়া দাম

গত পাঁচদিন ঘরে দেখা মিলছে না সূর্যের। দিনভর হিমেল বাতাসে ঝরছে কুয়াশার শিশির। এতে জন দুর্ভোগে নাজেহাল পরিস্থিতি উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। হিমালয়ের পাদদেশ কাছে হওয়ায় এ অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তথ্যটি নিশ্চিত করেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

আরও পড়ুন: অবশেষে খুলল বিএনপির কার্যালয়

তিনি বলেন, গত ৫ দিন ধরে মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সূর্য। কুয়াশার কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রাও নিম্নমুখী। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, উত্তর-পশ্চিমের হিমেল হাওয়ার ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছেন পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুরসহ নানা শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন রোজগার কমে যাওয়ায় কষ্টে দিন যাপন করছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে দেখা গেছে তাদের।

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা

বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপে ক্ষেত-খামারে কাজ করতে পারছেন না। প্রয়োজনীয় গরম মিলছে না শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের।

এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১৫-১৬ ডিগ্রির মধ্যে। সন্ধ্যার পর ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কোলাহলহীন হয়ে পড়ে শহর ও গ্রামের হাটবাজারগুলো। বাজারগুলোর বিভিন্ন জায়গায় কাগজের কাটন, টায়ার ও কাগজে আগুন ধরিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, আজসহ গত চারদিন ধরে সকাল থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের। এতে পরিবারসহ বিপাকে পড়েছে গৃহপালিত প্রাণিরাও। ভোর সকালে কাজ করা যাচ্ছে না। কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। ছেলে-মেয়েরাও ঠিকমত পড়ালেখা করতে পারছে না।

আরও পড়ুন: মাদক ব্যবসায়ীর ৫ বছরের সাজা

সন্ধ্যার পর থেকে পুরো রাত বরফ হয়ে উঠে। ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র ও বিছানা পর্যন্ত স্পর্শ করলে বরফের মতো ঠান্ডা মনে হয়। গৃহিনীদের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। আয় রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে পরিবারের কথা চিন্তা করে এই হাড়কাঁপা শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন।

এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ।

জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শিবগঞ্জে রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর

শিবগঞ্জের শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ি হতে বিনোদপু...

সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহ দিবসে দিনাজপুরে শপথ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

সোমবার (৩০ জুন) দিনাজপুরের লোকভবন টাউন হল প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক সাঁওতাল কৃষক বিদ...

পদ্মা-যমুনায় ইলিশের আকাল, জেলেরা ফিরছে খালি হাতে

দেশ-বিদেশে সুখ্যাতি থাকলেও গোয়ালন্দের যমুনা ও পদ্মা নদীর মোহনায় জেলের জালে দে...

বগুড়ায় পেটে লাথি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলার অভিযোগ

বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে এক গর্ভবতী গৃহবধুকে নির্যাতন সহ পেটে লাথি মেরে বাচ্চা...

মুরাদনগরকাণ্ড, মামলা তুলে নিতে চান ভুক্তভোগী

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে চাঞ্চল্যকর কোন কিছু ভাইরাল হতে সময় লাগে না।...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা