মোঃ সানাউল্লাহ, বরগুনা: স্বামী সন্তান থাকা সত্বেও প্রেমের সম্পর্কের টানে তরুণকে বিয়ের দাবিতে জামালপুর থেকে বরগুনা এসে অবস্থান নেয়া তরুণীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ৩ দিন বৃষ্টি থাকতে পারে
বরগুনার মূখ্য বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ মাহবুব আলম মঙ্গলবার ( ১০ মে ) সকালে বেতাগী থানাকে এই আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল বরগুনার চান্দখালির মাহমুদ হাসানের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয় জামালপুরের মৌ নামের এক তরুণী।
প্রেমের সম্পর্ক ও বরগুনায় আসার কারণ-
জামালপুরের ওই তরুণী রাজধানীর একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াশোনা করেন এবং সেখানেই থাকেন। মাহমুদুল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) সিভিল প্রকৌশল বিভাগে অধ্যয়নরত।
তরুণী জানান, মাহমুদুল হাসানও রাজধানীর উত্তরায় থাকেন। একই এলাকায় থাকায় তাদের মধ্যে পরিচয় হয়, এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের তিন বছর পর মাহমুদুলকে বিয়ে করার কথা বলেন ওই তরুণী। এরপর থেকেই নানা অজুহাতে তরুণীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন মাহমুদুল।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা শনাক্ত ২৬
চলতি মাসের শুরুতে মাহমুদুল গ্রামের বাড়ি বরগুনায় চলে আসেন। বাড়িতে আসার পর তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়ে গত চার-পাঁচ দিন ধরে মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে রাখেন। এরপর তিনি তাকে খুঁজতে ও বিয়ের দাবিতে বেতাগীতে আসেন।
স্থানীয়দের সহায়তায় ছেলের বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে বসবাস শুরু করে মেয়েটি। এরপর এগারো দিন যাবৎ বিভিন্ন গনমাধ্যমে মেয়েটির স্বাক্ষাতকার প্রচার হতে থাকে। ছেলের বাবার দেওয়া ওই তরুণীর আগের বিয়ের তালাকনামা দেখাতে হবে, অভিভাবক (বাবা—মা) নিয়ে আসতে হবে এবং মিডিয়ার কাছে কোনো কথা বলা যাবে না শর্তে বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ সোনা মিয়া। তবে শর্তানুযায়ী মেয়েটি ব্যার্থ হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সাইমুল ইসলাম রাব্বি বলেন, আমি বিষয়টি আদালতের নজরে এনে আবেদন করেছিলাম। কথিত বিয়ের দাবীতে বরগুনার চান্দখালীতে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে অবস্থানরত জামালপুরের তরুণীর বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে ওসি, বেতাগী থানাকে নির্দেশনা দিয়েছে বরগুনার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জাস্টিস অব দ্যা পিস।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, এখনো আদেশ হাতে পাইনি। পাওয়ার পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ প্রতিবেদন লেখা পযর্ন্ত আদেশ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
সাননিউজ/এমআরএস