আমিরুল হক, নীলফামারী : নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক পারভেজ খানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইফতার ও দোয় মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : ৪০টি নবনির্মিত ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন
রোববার (২৪ এপ্রিল) শহরের মুন্সিপাড়া এলাকায় মরহুমের ছোট ভাই সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সমাজ সেবক দিলনেওয়াজ খান দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ওই ইফতার বিতরণ করেন।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মরহুম নাঈম খানের জ্যেষ্ঠ ছেলে পারভেজ খান ছিলেন অত্যন্ত মানবতাবাদী উদার মনের মানুষ। তিনি মানুষের সুখে সুখী ও মানুষের দু:খে ব্যথিত হতেন। আমেরিকা প্রবাসী ছিলেন তিনি।
এছাড়া নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড প্রতিষ্ঠাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে তিনি সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন “কে পি ইন্টারন্যাশনাল” নামের শিল্প প্রতিষ্ঠান। যেখানে কর্মসংস্থান হয় প্রায় ২ হাজার স্থানীয় শ্রমিকের।
আরও পড়ুন : মকবুলের থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ পাওয়া গেছে
সৈয়দপুর শহরের আপামর জনসাধারণকে তাঁর হৃদয় থেকে ভালোবাসতেন। যে কারণে অধিকাংশ সময় আমেরিকার বিলাসবহুল সুযোগ সুবিধাকে উপেক্ষা করে সৈয়দপুরেই অবস্থান করতেন। এখানকার সর্বস্তরের লোকজনের সাথে ছিলো তাঁর অন্যরকম সখ্যতা। বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ছিলো তাঁর অবাধ মিলামিশা। যে কেউ যে কোন প্রয়োজনে যে কোন সময় তাঁর দ্বারস্থ হলে কখনই বিমুখ হতোনা। বিয়ে, চিকিৎসা, ছাত্রভর্তি থেকে সবসময়ই সকলের সহযোগিতায় অবলীলায় হাত বাড়িয়ে দিতেন।
আরও পড়ুন : বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে
মরহুমের ছোট ভাই দিনেওয়াজ খান বলেন, আমার বড় ভাই পারভেজ খানের কোন অহংকারবোধ ছিলনা। অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন। সবার সাথ মিলে মিশে থাকতে পছন্দ করতেন। তাঁর কোন শত্রু ছিলো বলে আমার জানা নেই। তাঁর মধ্যে ছোট-বড়, ধনী-গরিব, হিন্দু-মুসলিম, বাঙালী-বিহারী কোন ভেদাভেদ ছিলনা। তিনি সকলকে সহজেই আপন করে নিয়ে একেবারে মনের মাধুরি দিয়ে ভালোবাসতেন।
প্রসঙ্গত, সৈয়দপুর শহরে খান ভাই হিসেবে পরিচিত পারভেজ খান ২০১৩ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর চির বিদায়ে সেদিন সৈয়দপুর শহরের মানুষ যেন মেনে নিতে পারিনি। আজও অনেকে কাঁদে তাঁর বিরহে।
সান নিউজ/এইচএন