সারাদেশ

মেয়র হয়েই ইশতেহার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি রেজাউলের

নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়ে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেছেন এম রেজাউল করিম চৌধুরী। ইশতেহারে তিনি চট্টগ্রামকে পর্যটন রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা, হোল্ডিং ট্যাক্স এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে সমন্বয়কের ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার করেন।

এছাড়া ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচিতে যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নালা-নর্দমা, খাল-নদী দখলদার উচ্ছেদ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি নগরীর সবচেয়ে বড় সংকট জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পগুলো ঠিকমত বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়ার কথাও বলেন রেজাউল।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বিজয়ী মেয়রকে অভিনন্দন জানাতে নগরীর বহদ্দারহাটের বহদ্দার বাড়িতে ভিড় জমান শুভাকাঙ্খী দলীয় নেতা-কর্মীরা। এ সময় তিনি সকলের কাছে চট্টগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সহযোগীতা চেয়ে বক্তব্য দেন।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সব মতের মানুষের মতামত নিয়ে অতীতকে ফেলে নতুনের দিকে এগোতে চাই। সবার সাথে পরামর্শ করে সবার মেধাকে কাজে লাগাব। সেই পরামর্শ যদি মানুষের উপকারের হয়, টেকসই হয়, বাস্তবায়নযোগ্য হয় তাহলে সব কাজে লাগাব।

চট্টগ্রাম মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী বহদ্দার বাড়ির সন্তান রেজাউল করিম চৌধুরী ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হন। এরপর চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর চরম দুঃসময়ে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব নেন রেজাউল। এরপর হন যুবলীগের সদস্য। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন রেজাউল। এরপর হন সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমান কমিটিতে তিনি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদকের পদে আছেন।

চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব ও কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন রেজাউল করিম চৌধুরী। লেখক হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে রেজাউলের। ছাত্রলীগ ষাটের দশক চট্টগ্রাম এবং স্বদেশের রাজনীতি ও ঘরের শত্রু বিভীষণ নামে দুটি বই রয়েছে তার।

ব্রিটিশ আমলে গঠিত চট্টগ্রাম পৌর করপোরেশন ১৯৮৯ সালে সিটি করপোরেশনে রূপান্তরিত হয়। এরপর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। ১৯৯১-১৯৯৩ মেয়াদে চট্টগ্রাম সিটির মেয়র পদে ছিলেন বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।

প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এরপর টানা তিনবার তিনি ভোটে লড়ে জয়ী হন। ২০১০ সালে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলমের কাছে প্রায় এক লাখ ভোটে পরাজিত হন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

এরপরের ভোটে মনজুরকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দীন। এবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয় রেজাউল করিম চৌধুরীকে।

সান নিউজ/আইকে/কেটি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে হাতিয়াতে উঠান বৈঠক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষ...

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ইসলাম...

বাগেরহাটের কলার বাম্পার ফলন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার দাম ভালো পাওয়ায়...

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শাপলা চত্বরের ঘটনা

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যার ঘটনা এমন মন্তব্য কর...

একীভূত হচ্ছে না গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি

সম্প্রতি গুঞ্জন উঠে দেশের তরুণদের নিয়ে গঠিত দল দুইটি একীভূত হওয়ার বিষয়ে। তবে...

আ. লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজ...

লুটপাটের ভিডিও করায় সাংবাদিককে হেনস্তা 

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধ...

গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক, নিরাপত্তার দাবি জামায়াতের

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক করার ঘটনায় ইসরায়েলের ন্যাক্কারজনক ভূমিকার তীব্র...

আপিলেও জয়ী সেই আরিফ, এখন পৌর মেয়রের শপথের অপেক্ষায় 

কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা মো. আরিফুর রহ...

নিহত যুবদল নেতার পরিবারের পাশে তারেক রহমান

বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত যুবদল নেতা রাহুল সরকারের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা