‘জিয়ার খেতাব বাতিল মানে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা’
রাজনীতি

‘জিয়ার খেতাব বাতিল : মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা’

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ’বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।

মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) জামুকার ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল হয়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা এখনও এ বিষয়টি জানি না। তবে যদি এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেটা হবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অবমাননা। এটা বাংলাদেশের মানুষ ও সারাবিশ্বের মানুষ জানে যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ২৬ তারিখ সকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে প্রথম রিভল্ট করেন। তারপরে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গিয়ে নিজে প্রথমে স্বাধীনতার ডাক দেন, পরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ডাক দেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ডাক দিয়ে জিয়াউর রহমান প্রথম সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছেন। তিনি প্রথম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছেন। তিনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তিনি জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন। তার নামেই প্রথম জেডফোর্স গঠন করা হয়। তিনি স্বাধীনতার পরে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ খেতাব ‘বীর উত্তম’ পেয়েছেন। এখন ৫০ বছর পরে যদি সরকার এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা হবে (আমি আগেই বলেছি) মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ওপরে চরম অবমাননা। এটা হবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটা উদাহরণ। অত্যন্ত খারাপ একটা নজির হবে। তারা যতই খেতাব মুছে দিতে চেষ্টা করুক, জনগণের মন থেকে কখনও মুছে দেওয়া সম্ভব হবে না।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিএনপির কোনো কর্মসূচি থাকবে কি না জানতে চাইলে বিএনপির এ প্রবীণ নেতা বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও জানি না। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি না সেটা জানি না। সিদ্ধান্ত হলে আমরা দলের মধ্যে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এটাতো মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ে আগুন লাগিয়েছে। জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি বাতিল মানে হলো মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করা, অস্বীকার করা। দলমত নির্বিশেষ সব মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা। এটা জনগণ মানে না, মানবেও না।

আপনি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা সে হিসাবে এ বিষয়টা কিভাবে দেখেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধ দাবি করি না। যুদ্ধটাকে সম্মান করি। জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা।

সান নিউজ/বিএস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি প্রকাশ

স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল আস...

কর্মস্থলে না এসেও বেতন তোলেন শিক্ষক

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (১৮মে) বেশ কিছু খেল...

মেঘনা নদীতে পাঙ্গাশ রক্ষায় অবৈধ চাই ধ্বংস 

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় মেঘনা নদী থ...

মুন্সীগঞ্জে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোটগাঁ...

ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাই...

ইসলামী ব্যাংক ও ডিআইইউ’র মধ্যে চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক ব...

রেড কার্পেটে নিজের তৈরি পোশাকে ন্যান্সি

বিনোদন ডেস্ক: ভারতীয় ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী। ক...

বিদেশি মদসহ গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ডেমরায়...

৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৬ষ্ঠ উপজেলা পরি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা