নিজস্ব প্রতিেবেদক: ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকটি নির্বাচিত বস্তি ও বস্তিসংলগ্ন এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে করোনা নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে আইসিডিডিআরবি। তারা বলছে নির্বাচিত এসব বস্তির মধ্যে ঢাকায় ৭১ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের দেহে করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
ঢাকায় তিনটি বস্তি ও চট্টগ্রামে দুটি বস্তিতে এবং বস্তিগুলোর বাইরে কিন্তু কাছাকাছি এলাকায় গত অক্টোবর থেকে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনা উপসর্গযুক্ত ও উপসর্গহীন মানুষের মধ্যে এ সমীক্ষাটি চালানো হয় বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি।
আইসিডিডিআরবি গবেষণায় দেখা গেছে মোট ৩২২০ জন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চট্টগ্রামের তুলনায় ঢাকায় করোনায় অ্যান্টিবডি শনাক্তের হার বেশি। ঢাকায় যেটি ৭১%, চট্টগ্রামে তা ৫৫%। বয়স্ক ও তরুণদের এ হার প্রায় সমান।
অন্যদিকে নারীদের মধ্যে শনাক্তের হার ৭০.৬%, যা পুরুষদের (৬৬%) তুলনায় বেশি। এছাড়া স্বল্প শিক্ষিত, অধিক ওজন, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে যাদের, তাদের মাঝে অধিক মাত্রায় সেরোপ্রিভেলেন্স (রক্তে কোভিড উপস্থিতির হার) দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে বার বার হাত ধোয়ার প্রবণতা, নাক-মুখ কম স্পর্শ করা, বিসিজি টিকা গ্রহণ এবং মাঝারি ধরণের শারীরিক পরিশ্রম করা ব্যক্তিদের মাঝে কম মাত্রার সংক্রমণ দেখা গেছে।
তবে এ তথ্য শুধুমাত্র যেখানে সমীক্ষা চালানো হয়েছে সেখানকার জন্য এবং যে সময়ে হয়েছে সে সময়ের জন্য প্রযোজ্য বলে বলছেন গবেষকরা।
একই সাথে আইসিডিডিআরবির এ গবেষণায় আরও বলা হয় অধিকাংশই মৃদু লক্ষণযুক্ত বা কোন লক্ষণ নেই অর্থাৎ উপসর্গহীন যারা ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন তারা সেটি ছড়াতে সক্ষম।
ঢাকায় এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআরবির গবেষক ডা. রুবহানা রাকিব ও ড. আবদুর রাজ্জাক ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে বস্তি ও বস্তির বাইরে বসবাসকারীদের মাঝে কোভিড-১৯ এর প্রভাবক কারণ-সমূহ শীর্ষক এ সমীক্ষা ফল উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে আইসিডিডিআরবির প্রধান ড. তাহমিদ আহমেদ বলছেন, জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট কিংবা এ ধরণের তিনটি উপসর্গ থাকলেই মনে করতে হবে যে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে এবং টেস্ট করাতে হবে। এছাড়া করোনা থেকে মুক্ত থাকতে অ্যাক্টিভিটি অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রম বাড়ানো, মাস্ক পরা-সহ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপরই গুরুত্ব দেন তিনি।
সান নিউজ /এসএ/আরএস