সান নিউজ ডেস্ক: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ মামলার একমাত্র আসামি মুরাদুজ্জামান মুকুলকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বগুড়ার ধুনট উপজেলার জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েছেন মুনমুন ধামেচা?
শুক্রবার (২৭ মে) বিকেলে উপজেলার জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মুরাদুজ্জামান মুকুল শৈলমারি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে রয়েছেন।
অধ্যক্ষ লায়লা খাতুন বলেন, বিধি মোতাবেক গত ২৪ মে অনুষ্ঠিত কলেজ পরিচালনা কমিটির সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে বিধি অনুযায়ী তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার
এর আগে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১২ মে মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার ধুনট পৌর এলাকার দক্ষিণ অফিসারপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে মুরাদুজ্জামান সপরিবারে বসবাস করতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাসা মালিকের মেয়েকে কৌশলে জড়িয়ে ধরে মুঠোফোনে ছবি তোলেন মুরাদ্দুজ্জামান। সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুরাদুজ্জামান ৩ মার্চ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মুরাদুজ্জামান একই কৌশলে ওই ছাত্রীকে আরও কয়েক দফা ধর্ষণ এবং মুঠোফোনে ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন।
সান নিউজ/কেএমএল