জাতীয়

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ২১ নভেম্বর— ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০’। যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের এই দিনে তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তাদের সম্মিলিত আক্রমণে হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে, যা আমাদের বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাঁথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন— এ প্রত্যাশা করি।

সশস্ত্র বাহিনী আজ জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের এ দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে একতাবদ্ধ হন। দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালন করা হয়।

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেনা বাহিনীর জন্য তিনি মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আর্মড স্কুল ও প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরও অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিট গঠন করেন। তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঘাঁটি ঈসা খাঁ উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৎকালীন যুগোস্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য দু’টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়। বিমান বাহিনীর জন্য তিনি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুপারসনিক মিগ-২১ জঙ্গি বিমানসহ হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান ও রাডার সংগ্রহ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকে দেশে ও বিদেশে উন্নততর প্রশিক্ষণ প্রদানসহ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করেছেন। জাতির পিতার নির্দেশে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের উপযোগী ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কার্যক্রমসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আজ (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলে একযোগে প্রচার করা হবে।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিবরা সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। তিন বাহিনী প্রধানরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তিন বাহিনী প্রধান ও প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সীমিত আকারে করা হবে। এ বছর ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে নৌবাহিনী জাহাজ সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে না। সূত্র : বাসস।

সান নিউজ/এসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ডিভোর্সটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিলো

বিনোদন ডেস্ক: বলিউড চলচিত্রের গ্র...

ইপিএল চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি

স্পোর্টস ডেস্ক: ১ দিন আগেই ম্যানস...

গজারিয়ার চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: প্রথ...

সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে রাইসির হেলিকপ্টার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের বর্তমান...

রক্তে ভেজা ‘মুল্লুক চলো’ দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ রক্তে ভেজা ঐ...

নছিমন উল্টে প্রাণ গেল শ্রমিকের

জেলা প্রতিনিধি : ফেনীতে নছিমন উল্টে জাকির হোসেন (৩০) নামে এক...

শতবর্ষী বিদ্যালয়ের নাম পুনর্বহালের দাবি

নাটোর প্রতিনিধি : বড়াইগ্রামে শতাধিক বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত ঐত...

নিষেধাজ্ঞায় অপকর্ম থামেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক : র‌্যাবের ওপরও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেও...

ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কল...

গর্তে মিলল তিনজনের মরদেহ

জেলা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ত্রিশালে পতিত জমির গর্ত থেকে নার...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা