জাতীয়

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা: সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৮৯ সালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে সোমবার (১১ জানুয়ারি) প্রথম সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী এবং সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী।

এদিন তার স্বাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

গত ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে গত ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সগিরার ভাসুরসহ চারজনকে আসামি করে ১ হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।

আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।

মামলাসূত্রে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদ সালাম ১৯৮৯ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে মেয়েকে আনতে যান। বিকেল পাঁচটার দিকে সিদ্ধেশ্বরী রোডে মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। সগিরা নিজেকে বাঁচাতে দৌঁড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

ওই ঘটনায় সেদিনই রমনা থানায় মামলা করেন তার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় সাতজনের। সাক্ষীতে মারুফ রেজা নামে এক ব্যক্তির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই বছরের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা (১০৪২/১৯৯১) করেন মারুফ রেজা। যিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকটাত্মীয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের ২ জুলাই ওই তদন্তের আদেশ ও বিচারকাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ১৯৯২ সালের ২৭ আগস্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে মর্মে আরেকটি আদেশ দেয়া হয়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন এ মামলার ওপর ২৮ বছর ধরে থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলা ৬০ দিনের মধ্যে পিবিআইকে অধিকতর তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন।

একই বছরের ২০ নভেম্বর পিবিআইকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তদন্তের জন্য আরও ৬০ দিনের সময় দেন। এরপর পিবিআই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে। চারজনই হত্যার দায় স্বীকার করে বিচারিক আদালতে জবানবন্দি দেন।

সান নিউজ/এমএ/এস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগ

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ

সান নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব ম্যালেরি...

টঙ্গীবাড়ি ভাতিজারা পিটিয়ে মারলো চাচাকে

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

গরমে ত্বক ব্রণমুক্ত রাখতে যা খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমকাল এলেই ব্র...

ইতিহাস গড়ল পুষ্পা: দ্য রাইজ

বিনোদন ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন বড়সড় ধামাকা দিতে...

প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে থাইল্যান...

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ১৮টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ...

গাজায় গণকবরে শত শত লাশ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্...

রাজধানীতে ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মুগদার মদিনাবাগ এলাকায় ঢাকা দক্ষ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা