বিনোদন ডেস্ক : বিনোদন অঙ্গনের জন্য এই বছরটা মোটেও ভালো যায়নি। করোনার থাবায় বছরের শুরুতেই অনেকটা থমকে গিয়েছিলো সব। তার মধ্যে আবার এই বছরই বিনোদন অঙ্গনের অনেককেই হারিয়েছে।
চলতি বছরের ১৬ মে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দেশ বরেণ্য সুরস্রষ্টা ও সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান। তিনি ছিলেন বাংলা খেয়াল গানের প্রবর্তক।
৯ মাসেরও বেশি সময় ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে গত ৬ জুলাই প্রয়াত হন প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর। সিনেমার পাশাপাশি অডিও মাধ্যমে অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অভিনতো আব্দুল সাত্তার। ইবনে মিজানের ‘আমির সওদাগর ভেলুয়া সুন্দরী’ সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি। ১৯৮৪ সালে আলমগীর পিকচার্সের ব্যানারে তিনি ‘রঙিন রূপবান’ সিনেমায় প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন।
গত ৯ আগস্ট মারা যান প্রথিতযশা সুরকার-সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। দেশের শ্রেষ্ঠ সংগীত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। অডিও ও সিনেমা মিলিয়ে অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন তিনি। সিনেমার গানে শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন অভিনেতা কে এস ফিরোজ। তিনি নাট্যদল ‘থিয়েটার’র হয়ে অভিনয় শুরু করেন। ছোট পর্দায় গুণী অভিনেতা হিসাবে দেশব্যাপী পরিচিত ছিলেন তিনি।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন জনপ্রিয় অভিনেতা সাদেক বাচ্চু। পাঁচ দশকের অভিনয় জীবনে তিনি কাজ করেছেন মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও সিনেমায়। বিভিন্ন মাধ্যমে বহু চরিত্রে অভিনয় করলেও বড় পর্দার খলঅভিনেতা হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন তিনি।
চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর করোনার কাছে পরাস্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি অভিনেতা, নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের। স্বাধীনতা-পরবর্তী মঞ্চনাটকের অন্যতম সংগঠক ও সফল নাট্যনির্দেশকও ছিলেন তিনি। সংস্কৃতিজগৎ ছাপিয়ে তার মেধার দ্যুতি ছড়িয়েছিল বিজ্ঞাপনী খাতে। একুশে পদকসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আলী যাকের।
বছরের শেষ দিকে এসে অর্থাৎ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান বাংলাদেশের পথনাটকের অন্যতম পুরোধা নাট্যজন মান্নান হিরা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর।
২৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেতা আবদুল কাদের। নাটক, বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র- এ তিন মাধ্যমেই সমানভাবে জনপ্রিয় আবদুল কাদের। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী ছিলেন তিনি। ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটকে দুলাভাই চরিত্রে প্রশংসিত হয়েছেন। ‘রং নাম্বার’সহ বেশ কিছু সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
এছাড়া হারানোর তালিকায় আরো রয়েছেন- সুরকার সেলিম আশরাফ, অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী আহমেদ লীনা, মঞ্চাভিনেত্রী-নির্দেশক ইশরাত নিশাত, অভিনেতা সেলিম আহমেদ, সংগীতশিল্পী জবা চৌধুরী, চলচ্চিত্র প্রযোজক কেএম জাহাঙ্গীর খান, চলচ্চিত্র পরিচালক মহিউদ্দিন ফারুক প্রমুখ।
সান নিউজ/এসএম