সারাদেশ

শহীদ মিনারের বেদি সরানোর কাজে সেই মেয়রকে শোকজ

সান নিউজ ডেস্ক:

লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদি সরিয়ে পুনর্নির্মাণের ঘটনায় লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টুকে শোকজ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাট সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) আদালতের বিচারক সুরাইয়া বেগম একটি নালিশি মামলায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে এর কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, পুনর্নির্মাণের নামে নকশা বদল করে বিশেষ এক ব্যক্তির সুবিধার জন্য এর মূল বেদি ভেঙে তা এক কোণে সরিয়ে নির্মাণের চেষ্টা করছেন মেয়র। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারটির বেদি যাতে ভাঙা না হয় সেজন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ওই আদালতে নালিশি আবেদন করেন লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক সৈয়দ সূফী মো. তাহেরুল ইসলাম।

আদালত ও লিগ্যাল নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট পৌরসভার সাপ্টানা মৌজার মাতৃ মঙ্গল কেন্দ্রের পাশে ১৯৭২ সালে ১৪.৫০ শতাংশ জমির উপর সড়কের পাশে জেলার দৃষ্টিনন্দন এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে জেলাবাসী বিভিন্ন কর্মসুচি এই শহীদ মিনারেই পালন করে আসছেন।

কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শাখাওয়াত হোসেন সুমন। যা শহীদ মিনারের কারনে দৃষ্টির আঁড়ালে পড়ে যায়।

আলিশান ওই বাড়িটিরদ সৌন্দর্য তুলে ধরতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদি সরিয়ে এর নকশা পরিবর্তন করে এর পুণঃনির্মাণ কাজ শুরু করে পৌরসভা। ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৭ টাকা ব্যায়ে পুননির্মাণ করা শহীদ মিনারের মুল বেদি পরিবর্তন করে উত্তর-পুর্ব কোনায় নেয়া হচ্ছে। ফলে সেটি সড়কের চলাচলকারী সর্বসাধারনের দৃষ্টির আঁড়ালে চলে যাচ্ছে এবং দৃষ্টিহীন হয়ে জৌলুস ও মর্যাদা হারাচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ‘লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুনর্নির্মাণের নামে মূল নকশা পাল্টে এর বেদিটি সরিয়ে তা এক কোণে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, এমন অভিযোগে নালিশি মামলাটি দায়ের হয়েছে। বাদীর দাবি, শহীদ মিনারের পেছনে বসবাসকারী স্থানীয় ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানকে রাস্তা বের করে দেওয়ার বিশেষ সুবিধা দিতে শহীদ বেদিটি সরানো হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টুকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জবাব আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।’

লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক সৈয়দ সূফী মো. তাহেরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পৌরসভার মেয়রকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তিনি কোনও জবাব দেননি। তাই সুবিচার প্রার্থনা করে ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেছি। আশা করি আদালতের রায়ের মাধ্যমে লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যথাযোগ্য মর্যাদায় অক্ষত রাখা হবে।’

মূল বেদির স্থান অবিকৃত রেখে শহীদ মিনারটি পুনর্নিমাণের দাবি স্থানীয়দের। তবে তারা বলছেন, ওই বেদির সামনে শহীদ মিনারের ভেতরে একটি গাছ থাকায় শহীদ বেদীটি বাইরে থেকে দৃশ্যমান হবে না। ফলে ঐতিহ্যবাহী গাছটিও কেটে ফেলার শঙ্কা রয়েছে। তবে বেদিটি সরিয়ে নেওয়া হলে এর পেছন থেকে ব্যবসায়ী সুমন খানের রাস্তা ছাড়া বহুতল বাড়িটি দৃশ্যমান হবে এবং শহীদ মিনারের যে কোনও পাশ দিয়ে তার প্রবেশের জন্য রাস্তাও তৈরি করে দেওয়া হতে পারে।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাস চাপায় চুয়েট...

রাজধানীতে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শাঁখা...

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ছে না ছুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবহাওয়া অধিদপ্...

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাসে তিন...

রংপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়

রংপুর প্রতিনিধি : সারাদেশের মতো র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা