ক্রীড়া ডেস্ক : ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ১৯৮০ সালে সবশেষ ফাইনালে খেলে বেলজিয়াম। তারপর থেকে একরকম শূন্যই তাদের আন্তর্জাতিক অর্জন। গত বিশ্বকাপে বেলজিয়াম সেমিফাইনাল খেলায় প্রত্যাশা বাড়ে দলকে ঘিরে। দুর্দান্ত ফুটবল নৈপুণ্য দেখান লুকাকু-ডি ব্রুইনারা। সোনালী প্রজন্মের সেরা সময় কাটাচ্ছে বেলজিয়ান ফুটবল।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকে প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টে শিরোপার প্রত্যাশা নিয়ে ইউরোতে বেলজিয়ানদের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্তভাবে।
ইন্টার মিলানের সুপারস্টার রোমেলু লুকাকুর জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে রাশিয়াকে হারিয়ে ইউরো মিশনে শুভ সূচনা করেছে বেলজিয়াম।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের ভেতর থেকে মাটি কাঁপানো শটে বল জালে জড়িয়ে বেলজিয়ামকে লিড এনে দেন এই স্ট্রাইকার।
গোলের উদযাপনে হাসপাতালের শয্যায় বন্ধু ও ক্লাব সতীর্থ ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে স্মরণ করতে ভুললেন না তিনি।
ক্যামেরার সামনে গিয়ে বন্ধুর দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য ‘ক্রিস, ক্রিস ভালোবাসি তোমায়’ বলে জানালেন ফুটবল খেলার থেকেও বেশি কিছু।
এমন দিনে কি তাকে থামিয়ে রাখা সম্ভব?
ম্যাচের শেষ দিকে আরেকটি গোলে নিজেকে রাঙানোর পাশাপাশি দলকেও বড় জয় উপহার দিলেন লুকাকু। এ নিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে সবশেষ ১৫ ম্যাচে ১৯ বার লক্ষ্যভেদ করেছেন ইন্টার মিলানের এই স্ট্রাইকার।
তার আগে প্রথমার্ধে বেলজিয়ামের বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের রাইটব্যাক থমাস মুনিয়ের একটি গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
পুরো ম্যাচে স্বাগতিক রাশিয়া প্রতিরোধ ও পাল্টা আক্রমণে বেলজিয়ামের কোনো ক্ষতি করতে না পারায় পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে লুকাকুরা।
এ জয়ে ফিনল্যান্ডকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে যায় বেলজিয়াম। ১৭ জুন ডেনমার্কের বিপক্ষে গ্রুপ বি-এর দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলবে রবার্তো মার্তিনেজের শিষ্যরা।
সান নিউজ/এসএম