নিজস্ব প্রতিনিধি, পটুয়াখালী : কুয়াকাটা সংলগ্ন মহিপুরে এক যুবককে অপহরণ করে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ দেয়ার পর দুই দিন পার হলেও অপহৃত যুবককে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত কাউকে আটক করতে ব্যর্থ পুলিশ ক্যামেরার সামনে কথা বলতেও রাজি হয়নি। অপহৃত রায়হান মহিপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে।
অপহৃত যুবকের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি তালতলির উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওয়ানা হন রায়হান। সন্ধ্যায় রায়হানের স্ত্রী তাকে ফোন করে অবস্থান জানতে চাইলে মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে মারধরের শব্দ শুনতে পান। কিছুক্ষণ পরে লাইন কেটে ফোন বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় শাজাহান শিকদারের মাধ্যমে ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখতে পায় তার পরিবার।
ভিডিওতে দেখা যায় অপহৃত কিশোর রায়হানকে গাছের সাথে হাত বেঁধে একটি নির্জন বনের ভেতরে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালাচ্ছে ৪-৫ জন যুবক। লতাচাপলীর ইউনিয়নের ফাঁসিপাড়া গ্রামের নেছার সিকদারের ছেলে ইমাম শিকদার (ইমন) নেতৃত্বে ৪/৫ জন যুবক এ নির্যাতন করছেন বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার।
এ ঘটনায় রায়হানের বাবা আবুল কাশেম শুক্রবার বিকালে ইমাম সিকদার, মসিউর, ইমরান, বিপ্লব শীলের নাম উল্লেখ করে আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাত দিয়ে মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এরপর ২ দিন পার হলেও অপহৃত কিশোর রায়হান ও আসামি কাউকেই আটক করতে পারেনি মহিপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী। মাদক কারবারের দায়ে একাধিকবার তারা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানের এ বিষয়ে বলেন, মারধরের বিষয়টি তিনি মোবাইলে দেখেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ছেলেটি বর্তমানে তার শশুরবাড়িতে রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে।
সান নিউজ/আরআই