আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলমান হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার এ হামলায় সেখানে মৃত্যুর মিছিল ক্রমে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সেখানে প্রতি মিনিটেই প্রাণ হারাচ্ছেন কেউ না কেউ।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ড. আশরাফ আল-কিদরা জানান, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৯০৬১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭৬০ জনের বয়স ১৮ বছরের কম।
তবে হামাসের পরিসংখ্যানে সামরিক ও বেসামরিকদের সংখ্যা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তারা ইসরায়েলি হামলায় নিহত এবং গাজার অভ্যন্তরে ছোট ছোট গোষ্ঠীদের রকেট হামলায় নিহতদের সংখ্যা আলাদাভাবে উল্লেখ করেনি।
আরও পড়ুন: গাজায় শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত ১৯৫
গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলাকে ‘ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর’ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। শিশু হত্যা ও বন্দী করা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইউনিসেফ জানায়, ইসরায়েলি হামলা শুরু দিন থেকে কত শিশু আহত বা নিহত হয়েছে, তা খুব তাড়াতাড়ি জানা যাবে। গত ২৫ দিনে শুধু গাজায়ই ৩৫০০-এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ দিন ধরে গাজায় অব্যাহতভাবে বোমা ছুড়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এর আগে গত ২৮ অক্টোবর থেকে স্থল অভিযানও শুরু করে তারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ৯০০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারানোর পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৩২ হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: গাজায় হামলায় ৩৮ সাংবাদিক নিহত
এদিকে ২৬০০ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য পেয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিখোঁজদের মধ্যে শিশু ১১৫০ জন। এসব শিশু হয় নিখোঁজ রয়েছে, অথবা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে।
ইসরায়েলি হামলায় শুধুমাত্র আজই ২৫৬ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হামাস নিয়ন্ত্রিত এ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১৩৫ স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আজ ২৫ টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েলিরা।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের পদত্যাগ
ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজার ১৬ টি হাসপাতাল ও ৩২ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহ্বান জানিয়েছেন, তুরস্কের অর্থায়নে পরিচালিত গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালটি রক্ষায় যেন তিনি হস্তক্ষেপ করেন। সূত্র: আল জাজিরা
সান নিউজ/এনজে