জাতীয়

মিজান-বাছিরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুষ লেনদেন ও অবৈধভাবে তথ্য পাচারের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় পৃথক দুটি ধারায় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ৩ বছরের কারাদণ্ড ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে মিজানকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এবং বাছিরকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর তাদের তোলা হয় কাঠগড়ায়।

১০ ফেব্রুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

আরও পড়ুন: টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

৬ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনামুল বাছিরের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু করেন তার আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান। তবে সেদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় ১০ ফেব্রুয়ারি অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ঠিক করা হয়। বাছিরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে আদালত রায় ঘোষণার ওই দিন ধার্য করেন। এরও আগে ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। যুক্তিতর্কে তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী খালাস দাবি করেন। ২৪ জানুয়ারি দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ওই দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে , ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এরপর ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। একই বছরের ১৮ মার্চ মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠনের আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ১৯ আগস্ট মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১৭ জনের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ১০৫

চার্জশিটে বলা হয়, দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে কমিশনে দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে, নিজের লাভবান হওয়ার আশায়, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানকে অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার হীন উদ্দেশ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুস গ্রহণ করেন। অপরদিকে মিজানুর রহমান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য অর্থাৎ অনুসন্ধানের ফলাফল নিজের পক্ষে নেওয়ার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে এনামুল বাছিরকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুস দিয়ে পরস্পর যোগসাজশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই ৪০ লাখ টাকা ঘুস লেনদেনের অভিযোগে ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

সাননিউজ/এমআরএস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি প্রকাশ

স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল আস...

কর্মস্থলে না এসেও বেতন তোলেন শিক্ষক

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (১৮মে) বেশ কিছু খেল...

মেঘনা নদীতে পাঙ্গাশ রক্ষায় অবৈধ চাই ধ্বংস 

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় মেঘনা নদী থ...

মুন্সীগঞ্জে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোটগাঁ...

মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে

জেলা প্রতিনিধি: বিচারের আগে মিডিয...

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে পরিবর্তন

টেকলাইফ ডেস্ক: জনপ্রিয় যোগাযোগ প্...

মঙ্গলবার ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি 

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ষষ্ঠ উপজে...

দেশে ফিরলেন ১৪০ পাকিস্তানি শিক্ষার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কিরগিজস্তানের...

পুলিশ বক্সে আগুন দিল অবরোধকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: অটোরিকশা চলাচল...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা