জেলা প্রতিনিধি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মশা নিধনের কার্যক্রম কয়েক মাস করলে চলবে না। সারা বছর মশা নিধনের কার্যক্রম চালাতে হবে। তবেই মশা নিধন করা সম্ভব হবে। এখনো মশা বাড়ছে, তাই রোগীও বাড়ছে। এতে মৃত্যুও বাড়ছে। যে পর্যন্ত মশা না কমবে, সে পর্যন্ত মৃত্যুও কমবে না।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছে ভারত
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানীবাজার এলাকার বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের ফায়ার সেফটি ও আই কেয়ার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য দেশেগুলো ভালো করে স্প্রে করেছে ও সারা বছর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করছে ফলে ওই সব দেশে মশাও কম। এছাড়া আক্রান্ত ও মৃত্যুও কম।
মশা নিধনের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, মশার ওষুধে মশা মরে না, কিছুক্ষণের জন্য নির্জ্জীব হয়ে পড়ে থাকে। এতে মশা মরছে না, যে কারণে ওই মশা আবার উড়ে গিয়ে মানুষকে কামড়ায় ও মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এজন্য মশার ওষুধ পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন : পুলিশ অন্যায় করলে সাজা হবে
জাহিদ মালেক বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়নি। সব সরকারি হাসপাতালে রোগীদের ভালোভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সরকারের পাশাপাশি মানুষ যদি সচেতন হন তাহলেই ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : ছবি অনেক কথা বলে
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং ছিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ কেরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সুরজিৎ দত্তসহ প্রমুখ।
সান নিউজ/জেএইচ