নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নতুন করে শুরু হওয়া টিকা কার্যক্রমে ভিআইপিদের কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
তাদের বক্তব্য, লকডাউনের তৃতীয়দিনে টিকা নিতে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কেননা ভিআইপিদের কারণে কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের দিকে নজর দিচ্ছেন না।
এই হাসপাতালের টিকা কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালক (হাসপাতাল) চিকিৎসক খোরশেদ আলম বলেন, নতুন করে যারা নিবন্ধন করেছেন এবং পূর্বে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু টিকা পাননি, তারা প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা পাচ্ছেন।
বিএসএমএমইউর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের তৃতীয় তলায় ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই ভবনের নিচতলার দুটি বুথে সীমিত পরিমাণে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার (কোভিশিল্ড) দ্বিতীয় ডোজও দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খোরশেদ আলম।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার হোসনি দালান এলাকা থেকে টিকাকেন্দ্রে এসেছেন ফ্যাশন হাউস দর্জি বাড়ির জেনারেল ম্যানেজার শাহজাহান সিরাজ। দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ডাক পাচ্ছিলেন না। তিনি বলেন, ভিআইপিদের জন্যই আমাদের এতক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো। তাদের জন্য আলাদা বুথ থাকলে আর এ সমস্যা হতো না।
স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালনকারী রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির টিম লিডার এ কে এম নাজমুল শাহাদাৎ বলেন, নিবন্ধন করেছেন কিন্তু মোবাইলে বার্তা পাননি এমন ‘ভিআইপি’ ব্যক্তিরা এলে আমরা তাঁদের অপেক্ষা না করিয়েই টিকাদানের ব্যবস্থা করছি। তবে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কতজন ‘ভিআইপি’ টিকা নিয়েছেন তা জানাতে পারেননি তিনি। নাজমুল বলেন, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রের সামনে কয়েকটি বুথ রাখার কথা বলেছিলাম। তা করা হয়নি।
নিজের বাবাকে নিয়ে পান্থপথ থেকে এসেছেন বিন্তু পোদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা রাখা হয়নি কেন্দ্রটিতে। একই সঙ্গে ভিআইপিদের জন্য পৃথক বুথ না থাকায় বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
সাননিউজ/ এফএআর