ছবি-সংগৃহীত
রাজনীতি

বিএনপি সংঘাতের অজুহাত খুঁজছে 

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) কখনোই সংঘাত তৈরি করতে চাই না। কারণ আমরা সরকারে আছি। দেশে যদি কোনো সংঘাত সৃষ্টি হয় তবে সরকারেরই বদনাম হয়। সুতরাং আমরা সংঘাত চাই না। বিএনপিই সংঘাত তৈরি করার অজুহাত খুঁজছে।

আরও পড়ুন : সংঘাতের আশঙ্কা নেই

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণ করেছে, মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকবে সেদিন এত বড় ঢাকা শহরে অন্য কেউ সমাবেশ ডাকতে পারবে না এমন তো নিয়ম নেই। বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে জনগণ তখন আতঙ্কে থাকে। সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কিংবা এর সহযোগী সংগঠনগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে- মানুষের পাশে থাকা। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা। এটা তাদের দায়িত্ব। সে কারণেই ২৭ জুলাই ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ যৌথভাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

আরও পড়ুন : ২৭ জুলাই রাজধানীতে আ.লীগের সমাবেশ

আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর আগে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বে তারা এবং আমরা বড় সমাবেশ করেছি। সেখানে কোনো সংঘাত হয়নি। সেখানে আমাদের দল সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় দিয়েছে। আমরা চাই বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করুক। কিন্তু বিএনপি অতীতে যেহেতু মানুষের জান-মাল এবং সম্পদের ক্ষতি করেছে সেহেতু আমরা সরকারি দল হিসেবে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে মানুষের নিরাপত্তার জন্য একইদিনে সমাবেশ ডেকেছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো সংকট নেই। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট রয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে চায় কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের থেকে তারা সিদ্ধান্ত পায় না। এটা একটি বড় সংকট। বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করতে দেয় না। এমনকি সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন করতে দিচ্ছে না। এটি একটি দলের আভ্যন্তরীণ সংকটেরই বহিঃপ্রকাশ। অথচ তারা গণমানুষের দল হিসেবে নিজেদের দাবি করে। কখন যে সেই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে সেটাই এখন সময়ের অপেক্ষা।

আরও পড়ুন : ষড়যন্ত্র বন্ধ করে নির্বাচনে আসুন

তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যে ছোটখাটো একটা বিস্ফোরণ অবশ্য ঘটেছে। কিছু নির্বাচনে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ নির্বাচনে জয়ীও হয়েছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখলে এর প্রভাব বিএনপির মধ্যেই পড়বে।

শোকের মাসে জামায়াতের কর্মসূচির অনুমতির প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দেবে। শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দেবে।

সান নিউজ/জেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, প্রধানম...

আবেদনময়ী লুকে নুসরাত

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্র চিত্রনায়িকা নুসরাত...

খাগড়াছড়িতে শাশুড়ি হত্যায় জামাতা আটক

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে জুয়া খেলতে...

৬ তারিখে বাজেট প্রস্তাবন

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন, ৬...

গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মান...

বাক-বিতণ্ডার জেরে নিহত ১

উপজেলা প্রতিনিধি: সাভার জেলার আশু...

হিমাগারে মজুত ১ লাখ ডিম

জেলা প্রতিনিধি: বগুড়া সদরে &lsquo...

নিখোঁজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি : চাঁদপুরে নিখোঁজ হওয়ার পর ডাকাতিয়া নদী থেকে...

কিরিগিজস্তানে শিক্ষার্থীদের বাইরে যাওয়া নিষেধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বাংলাদেশি,...

ঘূর্ণিঝড়ের সবশেষ তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে চলমান...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা