জাতীয়

বন্যপ্রাণী হত্যাকারীর তথ্য দিলেই পুরস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ উদঘাটনে (তথ্য প্রদানকারী) পুরস্কার প্রদান বিধিমালা, ২০২০ জারি করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। বাঘ, কুমির, হাতি, হরিণ, কচ্ছপ, সাপ এবং পাখি বা অন্যান্য বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ বিষয়ে তথ্য দিয়ে এই পুরস্কার জেতা যাবে। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধের ৫ ধরনের তথ্য সরকারকে জানিয়ে দিলেই ৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার পাওয়া যাবে।

বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধে বাঘসহ কোনো ব্যক্তি বনাঞ্চলের ভেতরে ধরা পড়লে সে ক্ষেত্রে এ তথ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং বনাঞ্চলের বাইরের এই তথ্যের জন্য ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। কুমির ও হাতির ক্ষেত্রে আসামি ও প্রাণীসহ বনাঞ্চলের অভ্যন্তরের তথ্যের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং আসামি ও প্রাণীসহ বনাঞ্চলের বাইরের এই তথ্য জানিয়ে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে।

হরিণ সংক্রান্ত অপরাধে বনের ভেতর ধরা পড়লে ২০ হাজার টাকা এবং বনের বাইরের জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে। আর কচ্ছপ বা সাপ নিয়ে বনের ভেতরের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ১৫ হাজার টাকা এবং বনের বাইরের তথ্য দিলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়া পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে বনের ভেতরে অপরাধ উদঘাটনে তথ্য দিয়ে ১০ হাজার টাকা এবং বনের বাইরে তথ্য জানিয়ে ৮ হাজার টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, এসব পুরস্কার দিতে প্রধান বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। এই কমিটি আর্থিক পুরস্কারের জন্য প্রস্তুত করা তালিকা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে। অপরাধ উদঘাটনে তথ্য অনুসন্ধান চলাকালীন তথ্য উদঘাটনের সময় বা পরবর্তী সময়ে বন কর্মকর্তা তথ্য প্রদানকারীর পরিচয়সহ সব তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখবেন।

বিধিমালা অনুযায়ী, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ উদঘাটন করা সম্ভব হলে তথ্যদাতাকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া যাবে। অপরাধ উদঘাটন করা সম্ভব না হলেও পরে আলামতসহ অপরাধ উদঘাটন বা অপরাধীকে শনাক্ত ও আটক করা হলে তথ্য প্রদানকারীকে আর্থিক পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় আনা যাবে।

অপরাধ সংঘটনকারীকে শনাক্ত করা না গেলে, আটক বা হাতেনাতে ধরা সম্ভব না হলে, অপরাধী শনাক্ত হলেও বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা সম্ভব না হলে তথ্যদাতা ব্যক্তি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না বলে বিধিমালায় বলা হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, পুরস্কারের অর্থ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বা ওয়ার্ডেন বা অতিরিক্ত প্রধান ওয়ার্ডেন বা বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের মাধ্যমে তথ্যদাতাকে সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে দেবেন। তবে কোনো তথ্য প্রদানকারী যদি জীবনের ঝুঁকির ভয়ে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চান, তবে তথ্য প্রদানকারীকে একটি পরিচিতি সংখ্যা আইসিএন দিয়ে শনাক্ত করতে হবে।

পরবর্তী সময়ে সব যোগাযোগ আইসিএন অনুযায়ী করতে হবে। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধের তথ্য আগে প্রকাশিত হলে, কোনো তথ্য বেনামে দেওয়া হলে এবং তথ্যদাতা নিজেই সেই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে আর্থিক পুরস্কারের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন বলে বিধিমালায় বলা হয়েছে।

সান নিউজ/এসএ/এস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি প্রকাশ

স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল আস...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (১৮মে) বেশ কিছু খেল...

কর্মস্থলে না এসেও বেতন তোলেন শিক্ষক

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোটগাঁ...

মেঘনা নদীতে পাঙ্গাশ রক্ষায় অবৈধ চাই ধ্বংস 

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় মেঘনা নদী থ...

ওএমএস বিতরণে গাফলতি হলে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী সা...

পটল কেন উপকারী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: পটল আমাদের দেশের পরিচিত একটি সবজি, যা খেতে...

মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে

জেলা প্রতিনিধি: বিচারের আগে মিডিয...

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে পরিবর্তন

টেকলাইফ ডেস্ক: জনপ্রিয় যোগাযোগ মা...

মঙ্গলবার ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ষষ্ঠ উপজেলা পরি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা