আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় নৌকাডুবিতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নৌকাডুবিতে ৩ বরযাত্রী নিহত
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ম্যানিলার কাছে প্রবল বাতাসের মধ্যে যাত্রীবাহী ঐ নৌকাটি ডুবে যায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার প্রবল বাতাসের মধ্যে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার কাছে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গৌরীপুরে ট্রেন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌকাডুবিতে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করছে ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড (পিসিজি)। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ঠিক কতজন আরোহী ছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
তবে দুর্যোগ কর্মকর্তা নিল ফেরার ডিজেডআরএইচ জানান, নৌকাডুবির পর ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৬ জন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চলছে।
আরও পড়ুন: নাইজারে সেনা অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্ট আটক
ফিলিপাইন কোস্ট গার্ডের (পিসিজি) শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নিখোঁজদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা নারীর মতো দেখতে এক যাত্রীর মৃতদেহ টেনে আনছেন।
পিসিজি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় নৌকাটি ভূখণ্ড থেকে ৪৫ মিটার (১৪৭ ফুট) দূরে ছিল। প্রবল বাতাসের কারণে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে নৌকার একপাশে চলে যায়। এতে ভারসাম্য হারিয়ে নৌকাটি এক পর্যায়ে বিনঙ্গোনানের কাছে পানিতে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: সেনেগালে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২৩
বিনঙ্গোনান হচ্ছে ফিলিপাইনের একটি উপকূলীয় শহর। শহরটি রাজধানী ম্যানিলা থেকে মাত্র ২ ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত।
৭৬০০ টিরও বেশি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত ফিলিপাইনে চলতি সপ্তাহে টাইফুন ‘ডোকসুরি’ আঘাত হানার ফলে দেশটিতে ৬ জন নিহত হন। ফিলিপাইনের সর্বাধিক জনবহুল দ্বীপ লুজন দ্বীপে এটি আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার (১০৮ মাইল)।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাত, নিহত ৬
টাইফুন ‘ডোকসুরি’ ফিলিপাইনে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে তাইওয়ানের দিকে চলে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দেশটিতে কিছু ফেরিসহ নৌযান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরই নৌকাডুবিতে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটল।
প্রসঙ্গত, সামুদ্রিক নিরাপত্তায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এ দেশটির খারাপ রেকর্ড রয়েছে। দেশটির নৌযানগুলোতে প্রায়ই ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয় এবং অনেক পুরোনো নৌযান এখনও ব্যবহার করা হয়।
সান নিউজ/এনজে