ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্য

ফসলী মাঠে পাকা ধান, বন্যা আতংকে কৃষকরা

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনে ফসলী মাঠজুড়ে সবত্রই পাকা ধানে মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর কারণে বন্যার আতংকে রয়েছেন সাধারণ কৃষকরা।

আরও পড়ুন: বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস

সরেজমিন ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে এ উপজেলায় ২০ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে দেশী আমন ধান ফসল ও উচ্চ ফলনশীল জাতের উফশী ধান ৫৮৫০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন করেছে কৃষকরা।

১৬ টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় আগাম জাতের ধান কর্তন শুরু হয়েছে। সেই মুর্হুতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আতংকে পড়েছে তারা।

বলইবুনিয়া ইউনিয়নে ১১৮০ হেক্টর জমিতে আমন ফসলের মধ্যে ১০৮০ হেক্টর উচ্চ ফলনশীল জাতের এবং ১০০ হেক্টর জমিতে দেশী আমন ফলন হয়েছে। এর মধ্যে ২০% জমির ধান কর্তন করে ঘরে তুলতে পেরেছে কৃষকরা। বাকি ধান মাঠে থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। ২০/২৫ দিনের মধ্যে এ ধান কাটা শেষ হবে।

আরও পড়ুন: বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

কালিকাবাড়ি গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, গফফার শেখ, দোনা গ্রামের আজিজুল হাকিম, আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক পাইক, দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের গাজিরঘাট গ্রামের বাদশা খান, সাইফুল তালুকদার, নিখিল ডাকুয়া একাধিক কৃষকরা বলেন, এ বছরে তাদের জমিতে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

ইতোমধ্যে কিছু ধান ঘরে তুলতে পেরেছি। ৩ সপ্তাহ সময় পেলে সব ধান কর্তন করতে পারব। হঠাৎ বন্যার খবর পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। কয়েকদিন আগে বন্যায় ধান হেলে পড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আবারও যদি বন্যা হয়, বছরের খোরাক ঘরে তোলা যাবে না। গরুর গো-খাদ্যও সংকটে পড়বে।

এ বিষয়ে বলইবুনিয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও দৈবজ্ঞহাটী কৃষি কর্মকতা মিজানুর রহমান ও মশিউর রহমান বলেন, তাদের এলাকায় উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উৎপাদন করেছে বেশীরভাগ কৃষক। দেশী আমনের চাষ করেছে কম।

আরও পড়ুন: একদিনে আরও ৫ মৃত্যু, ভর্তি ৬৬৯

যে কারণে আগাম ধান কর্তন করতে পারছে তারা। ইতোমধ্যে কৃষকদেরকে বন্যার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আকাশ বৈরাগী বলেন, এ উপজেলায় কৃষকদেরকে ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূবার্ভাস বার্তা ও করণীয় সর্ম্পকে অবহিত করা হয়েছে। সেই সাথে ৮০ ভাগ পাকা ধান কর্তন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আগামী এক মাসের মধ্যে দেশী আমন ধান কর্তন করে তারা ঘরে তুলতে পারবে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান বেশীরভাগ কেটে ফেলছেন কৃষকরা। এতে বন্যা হলেও তেমন ক্ষতির প্রভাব পড়বে না।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ভূমি দুস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম...

ফসলের ক্ষতি করে চলছে অবৈধ ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রি

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

গরমে বারবার গোসল করা কি ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থে...

আজ শেরে বাংলার ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অবিভক্ত বাংল...

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

হিটস্ট্রোকে একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রা...

আইনি সেবায় মানবিকতাকেও স্থান দেয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনি সেবা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের...

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ড সফর শেষে আগামীকাল ব্যাংকক থেকে...

ডিপিএস এসটিএস স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা