নিনা আফরিন, পটুয়াখালী: পটুয়াখালী-১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস দলীয় প্রার্থী (ডাব প্রতীক) নাসির উদ্দীন তালুকদারের বিরুদ্ধে জন কর্মসংস্থান সোসাইটি (জনক) নামে একটি এনজিওর মাধ্যমে আশি লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মো. সাইফুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: জেলা পর্যায়ে সম্মাননা পেলেন মুজাহিদ প্রিন্স
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আমলী আদালতের বিচারক মো. আশিকুর রহমান।
মামলায় নাসির উদ্দীন তালুকদারসহ তার পরিবারের মোট ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ফোরকান রতন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা দায়েরের পরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী নারী ও পুরুষ।
আরও পড়ুন: পাঙ্গাশসহ সব মাছের দাম চড়া
এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নাসির উদ্দীন তালুকদারের নিদিষ্ট কোনো পেশা নেই। সে বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় মানুষের সাথে বিশ্বাস স্থাপন ও সম্পর্ক গড়ে তুলে।
তারপর সেখানকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করেন। প্রতারণার টাকায় একজন ভোটে দাঁড়াবে, আর মানুষ তাকে ভোট দিবে, তা হতে পারে না।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামি নাসির উদ্দিন তালুকদার তার নিকটাত্মীয়দের নিয়ে জন কর্মসংস্থান সোসাইটি (জনক) নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করে বাদীসহ প্রায় ৫ শতাধিক গ্রাহককে অধিক মুনফার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: জনসভাস্থলে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
এরপর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর বাদীপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিলে ২০১২ সালে নাসির উদ্দিন তালুকদার ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে টাকা ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার প্রদান করেন। এরপর টাকা চাইতে গেলে আজ নয় কাল বলে ঘুরাতে থাকেন।
সর্বশেষ গত ২৫ ডিসেম্বর জৈনকাঠি এলাকায় জন কর্মসংস্থান সোসাইটি অফিসের সামনে রাস্তায় তার কাছে টাকা চাইলে তিনি ‘নির্বাচনে ব্যস্ত আছি, কোনো টাকা পাবি না, পারলে আদায় করিস’ বলে চলে যান। তাই বাদীপক্ষ আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন।
সান নিউজ/এনজে