আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২০ সালে মন্দা ভাব হানা দিয়েছে প্রাকৃতিক রাবারের বৈশ্বিক উৎপাদনে। গত বছরে তুলনায় এ খাতের বৈশ্বিক উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে আসছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে উৎপাদনকারীদের জোট এসোসিয়েশন অব ন্যাচারাল রাবার প্রডিউসিং কান্ট্রিজ (এএনআরপিসি)। খবর বিজনেস লাইন ও রয়টার্স।
এএনআরপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল শেষে বিশ্বজুড়ে সব মিলিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ ৯৭ হাজার টন প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আগের প্রাক্কলনের তুলনায় পণ্যের বৈশ্বিক উৎপাদন কমতে পারে ১০ শতাংশ।
গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত প্রতিষ্ঠানের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর প্রাকৃতিক রাবারের বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রাক্কলন ধরা হয়েছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার টন। সেই হিসাবে বছর শেষ হওয়ার আগেই এএনআরপিসি প্রাকৃতিক রাবারের উৎপাদন প্রাক্কলন কমিয়েছে ৩ লাখ টনের বেশি।
প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনে এমন মন্দার পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। প্রথমত, করোনা মহামারী ও লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকট থেকে ভারত, থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশে প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম শ্লথ হয়ে এসেছে। দ্বিতীয়ত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশে প্রতিকূল আবহাওয়ায় রাবার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
তৃতীয়ত, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু কিছু অঞ্চলে প্রাকৃতিক রাবার গাছে ক্ষতিকারক ছত্রাকের আক্রমণে পাতা ঝরা রোগ (লিফ ফল ডিজিজি) দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ৩ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে ছত্রাকের আক্রমণ ঘটেছে। মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকায় ছত্রাক আক্রান্ত জমির পরিমাণ যথাক্রমে ১ লাখ ৫০ হাজার ও ২০ হাজার হেক্টর।
করোনা মহামারীর মধ্যে একদিকে চাহিদা কমে আসা, অন্যদিকে ক্ষতিকারক ছত্রাকের প্রকোপ চলতি বছর প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন প্রত্যাশার তুলনায় ১০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছে এএনআরপিসি। তবে ২০২১ সালের মাঝামাঝি গিয়ে প্রতিযোগিতার কারণে প্রাকৃতিক রাবারের দাম বর্তমানের তুলনায় ৪ শতাংশ বাড়তে পারে।
সান নিউজ/এসএ